প্রথম টেস্টটাও জাসপ্রিত বুমরাহর হতে পারত। সেবার বড় একটা সময় এগিয়ে থাকার পরেও শেষপর্যন্ত হেরে গিয়েছিল ভারত। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে সমতায় ফিরতে তাই দ্বিতীয় ম্যাচে জিততেই হতো তাঁদের। কাঙ্খিত জয়টা অবশ্য দাপটের সাথেই তুলে নিয়েছে তাঁরা, আর এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন জাসপ্রিত বুমরাহ।
দুই ইনিংস মিলিয়ে নয় উইকেট শিকার করেছেন তিনি। এর মধ্যে আগের ম্যাচের নায়ক ওলি পোপকে আউট করাটা বোধহয় সবচেয়ে বেশি পছন্দ হয়েছে ভারতীয় দর্শকদের। দুর্ধর্ষ এক ইয়র্কারে ইংলিশ ব্যাটারের মিডল আর লেগ স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলেছেন এই ডানহাতি।
এমন অপ্রতিরোধ্য ইয়র্কার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান চমক জাগানিয়া তথ্য। তাঁর ভাষ্যমতে, অন্য কোন ভেরিয়েশন শেখার আগেই নাকি ইয়র্কারে পটু হয়ে উঠেছিলেন। এই পেসার বলেন, ‘ছোট বেলায় প্রথম গো-টু ডেলিভারি হিসাবে আমি ইয়র্কার শিখেছি। টেনিস বলে খেলার সময়েই আমি মনে হতো উইকেট তোলার একমাত্র উপায় হল এটা।’
সদ্য সমাপ্ত টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩১ রানের বিনিময়ে ছয় উইকেট ঝুলিতে পুরেছিলেন তিনি। ঘরের মাঠে এটিই তাঁর সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। তবে সংখ্যা বা রেকর্ডের দিকে না তাকিয়ে দলের জয়ে অবদান রাখাটাই মূল লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছেন এই তারকা।
তিনি বলেন, ‘আমি সংখ্যার দিকে তাকাই না। আপনি যদি রেকর্ডের কথা বেশি বেশি মনে করেন তাহলে অনেক চাপ অনুভব হবে। আমি খুব খুশি যে আমরা জিতেছি এবং এতে অবদান রাখতে পেরেছি। বোলিং আক্রমণের নেতা নই, কিন্তু প্রয়োজনে সতীর্থদের নির্দেশনা আমার দায়িত্ব।’
স্বাগতিক একাদশে একমাত্র পেসার ছিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ, অন্যদিকে বেন স্টোকসরাও একজন পেসার খেলিয়েছে – তিনি জেমস অ্যান্ডারসন। দুই দলের দুই পেসারের মাঝে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কেমন ছিল এমন প্রশ্ন শুনতেই অবশ্য হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন বুমরাহ।
তিনি বলেন, ‘সত্যিই কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল না। আমি সবসময় তাঁর ফাস্ট বোলিং দেখে উপভোগ করি। কেউ ভাল করছে, সেটা তাদের জন্য ভাল। আমি পরিস্থিতি আর উইকেট বোঝার চেষ্টা করি; আমার সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজি। প্রতিটি উইকেট আসলে ভিন্ন এবং সেটা বুঝে ভান্ডারে যা আছে তা ব্যবহার করতে হয়।’