ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টেই অপ্রতিরোধ্য বুমরাহ

ভারতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতিয়ে দিয়েই তিনি চলে গিয়েছিলেন বিশ্রামে। ফিরেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়েই। আর ফিরেই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, যখন যেখানেই তিনি খেলতে নামেন – তিনি বনে যান ভারতের এক নম্বর তুরুপের তাস।

ভারতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতিয়ে দিয়েই তিনি চলে গিয়েছিলেন বিশ্রামে। ফিরেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়েই। আর ফিরেই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, যখন যেখানেই তিনি খেলতে নামেন – তিনি বনে যান ভারতের এক নম্বর তুরুপের তাস।

প্রথম টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে নেন পাঁচ উইকেট। চেন্নাইয়ের পর কানপুরেও সফল জাসপ্রিত বুমরাহ। প্রথম ইনিংসে নিয়েছেন তিন উইকেট। আর সবগুলোই চতুর্থ দিনে। বাংলাদেশ যে ২৩৩ রানের বেশি করতে পারল না, এটা প্রায় শতভাগ কৃতীত্ব এই বুম বুম বুমরাহকেই দিতে হয়।

তিন ফরম্যাটেই সমান তালে খেলেন, পারফরমও করেন – এমন ক্রিকেটার আজকের দুনিয়ার দুর্লভ। ফাস্ট বোলারদের জন্য সেটা আরও কঠিন কাজ। সেই কঠিন কাজটাই দিনের পর দিন করে যাচ্ছেন জাসপ্রিত বুমরাহ।

শুধু করাই নয়, জাসপ্রিত বুমরাহ ভারতের  পেস আক্রমণের নেতা। আর এই কথাটা সব ফরম্যাটের জন্যই সত্য। তবে, এখানে কৃতীত্ব প্রাপ্য ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টেরও। তারা বুমরাহকে ব্যবহার করেন খুবই বুঝে-শুনে। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টটা বুমরাহর ক্ষেত্রে অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয়।

বিশেষ করে বছর দুয়েক আগের ইনজুরির পরই বুমরাহকে নিয়ে নড়েচড়ে বসে ভারত। স্ট্রেস ইনজুরির জন্য বুমরাহর পক্ষে ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা সম্ভব হয়নি। সে নিয়ে সমালোচনাও হয় – বলা হয় জাতীয় দলে খেলার সময়ই বুমরাহ যত ইনজুরি জনিত ঝামেলায় পড়েন।

বুমরাহ জবাব দেওয়ার মঞ্চ খুঁজছিলেন। ২০২৩ ও ২০২৪ – টানা দু’টো বছর বুমরাহ পেস জাদুতেই দু’টো বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে ভারত। একটায় জিতে যায় শিরোপা। চলতি বছর ভারত ১৩ বছর বাদে বিশ্বকাপের ট্রফি হাতে তুলে নেয়। বুমরাহ বনে যান বিশ্বকাপের সেরা তারকা।

এরপর বিশ্রাম কাটিয়ে তিনি আবারও জাতীয় দলের মধ্যমণি। এবার টেস্টের লড়াই। ভারতের জন্য অধরা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন। সেই স্বপ্নের সারথীও বুমরাহই!

Share via
Copy link