এক বাটলারের ব্যাটিংয়েই বেসামাল পাকিস্তান

দলের ব্যাটাররা যখন ২২ গজের এক প্রান্তে আসা যাওয়াতে ব্যস্ত। আরেক প্রান্তে ইংল্যান্ডের ঢাল স্বরূপ দাঁড়িয়ে দলপতি জশ বাটলার। তিনি হাল ধরলেন, খেললেন দুর্দান্ত এক ইনিংস, দলকে নেতৃত্ব দিলেন একদম সামনে থেকে। পুরো ম্যাচ জুড়ে দলের ত্রাতার ভূমিকাই পালন করেছেন বাটলার।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) বিদায় জানিয়েছেন মাঝ পথেই, ফিরে এসেছেন দেশের ডাকে। তবে আইপিএলকে বিদায় বলার আগে সেখানে তিনি হাঁকান দুটি শতক। তাছাড়াও পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে রান করে গিয়েছেন ডান-হাতি এই ব্যাটার। দুর্দান্ত এক সময় পার করছেন ইংল্যান্ড দলপতি জশ বাটলার।

এজবাস্টনে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামে ইংল্যান্ড। টসে জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। শুরুটা বেশ ভালভাবেই করে ইংল্যান্ড। তবে আইপিএল কাঁপানো ফিলিপ সল্ট এই ম্যাচে দীর্ঘ করতে পারেননি তাঁর ইনিংস।

তবে উইল জ্যাকসকে সাথে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন বাটলার, গড়েন ৭১ রানের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ। জ্যাকস ব্যক্তিগত ৩৭ রানে আউট হলেও, ২২ গজের এক প্রান্ত আগলে রাখেন বাটলার। জনি বেয়ারস্টোকে সাথে নিয়ে গড়েন ৪৮ রানের পার্টনারশিপ।

এই ম্যাচে বাটলার ৫১ বলে ১৬৪.৭১ স্ট্রাইক রেটে খেলেন ৮৪ রানের এক চমৎকার ইনিংস। যেখানে ছিল ৮ টি চার এবং ৩ টি ছক্কার ইনিংস। তবে ইনজুরি থেকে ফিরে আসা হারিস রউফের বলে শাদাব খানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। আর সেই সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেননি শাদাব। ইতি ঘটে বাটলারের অসাধারণ ইনিংসের।

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কতটা ভয়ংকর হতে পারে ইংল্যান্ডের এই অধিনায়ক, তাঁর সাম্প্রতিক পারফর্ম্যান্সই বলে দিচ্ছে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা বেশ ভালভাবেই সেরে নিচ্ছেন জশ বাটলার। মেগা ইভেন্টকে সামনে রেখে বাটলারের এই ইনিংস তাই প্রতিপক্ষের বোলারদের জন্য সতর্কবার্তা স্বরূপ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link