কি অবলীলায় ২৫০ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিলে রুতুরাজ গায়কড়। ঠিক কতটা টেকনিক্যালি সলিড হলে এমন সাবলীল ব্যাটিং করা যায় চিপকের উইকেটে দাঁড়িয়ে! যেখানে বাকি ২১ জন ব্যাটারই থাকেন তটস্থ, সেখানেও রুতুরাজের কপালের নেই চিন্তার কোন ভাঁজ।
নিজের উপর তার অগাধ আত্মবিশ্বাস। নিজের দক্ষতার প্রতি তার রয়েছে অন্ধ আস্থা। চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক সে বিষয়টি ফুটিয়ে তুললেন আরও একটিবার। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে নিজের ক্যারিয়ারের দ্রুততম অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন রুতুরাজ।
স্রেফ ২২ বলে ৫০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যান তিনি। এই পুরোটা সময় জুড়ে তিনি এফোর্টলেস ব্যাটিংটা করে গেছেন। চিপকের চিরায়ত স্পিন সহায়ক, বলকে থমকে দেওয়া উইকেটেও ব্যাটে-বলের দারুণ সংযোগ ঘটিয়েছেন রুতুরাজ। তার খেলা প্রতিটা শটে মনে হয়েছে যেন কঠোর পরিশ্রমে দক্ষতা যেন হয়ে উঠেছে অপূর্ব শিল্পকর্ম।
গেল বেশ কিছু আইপিএল ধরেই ব্যাট হাতে ধারাবাহিকতার প্রমাণ রেখে যাচ্ছেন তিনি। চেন্নাইয়ের মত সফল দলের অধিনায়ক হওয়ার চাপও তাকে টলাতে পারেনি। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই তিনি একটা পূর্বাভাস দিয়ে রাখলেন। যতক্ষণ অবধি রুতুরাজ আছেন বাইশ গজে, ততক্ষণ অবধি চেন্নাইকে দুশ্চিন্তা না করলেও চলবে।
তিনি যে করেই হোক দলকে একটা নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাবেন। মুম্বাইয়ের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটেনি। ২৬ বলে ৫৩ রান করে ফিরেছেন তিনি সাজঘরে। যাওয়ার আগে ছয়টি দৃষ্টিনন্দন বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন। ঠিক তার অর্ধেক ওভার বাউন্ডারিও এসেছে তার ব্যাট থেকে।
চেন্নাইয়ের বাজির ঘোরা যে রুতুরাজ- সেটা তাই না বলে দিলেও চলছে। তার কাছ থেকে বরং প্রত্যাশাই বাড়ল ফ্রাঞ্চাইজিটির। প্রাথর্ণা শুধু তার ধারাবাহিকতার। ইন্টেন্ট, দক্ষতা আর আগ্রাসন নিয়ে নেই কোন প্রকার সংশয়।