টেস্ট অধিনায়ক সাকিব, টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক তামিম!

ওলট পালট হতে চলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে। টি-টোয়েন্ডি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ভরাডুবির জের ধরেই যে ওলট পালট তা বলাই বাহুল্য।

বিশ্বকাপ শেষেই টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসছে পাকিস্তান দল। টি-টোয়েন্টি দিয়ে শুরু হবে সিরিজ। আর সেই সিরিজে এক গাদা তরুণ ক্রিকেটারকে টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নাজমুল হাসান শান্ত, ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি, পারভেজ হোসেন ইমন, ইরফান শুক্কুরদের দেখা যেতে পারে টি-টোয়েন্টিতে।

তবে, তামিম ইকবালকেও টি-টোয়েন্টিতে ফিরিয়ে আনার কথা ভাবছে বোর্ড। শুধু ফিরিয়ে আনাই নয় – তাঁকে নাকি টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক হতে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এখন আগে থেকেই ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা তামিম এই দায়িত্বটাও নিয়ে ফেললে সম্ভবত তাঁর নেতৃত্বেই আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা খেলবে বাংলাদেশ দল।

তবে, এখনও এই ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আর, পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদেরই অধিনায়ক হিসেবে টিকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে টিকে যেতে পারেন মুশফিকুর রহিমও।

টি-টোয়েন্টি দল থেকে স্থায়ী ভাবে বাদ পড়বেন টপ অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। তবে, টেস্ট আর ওয়ানডের জন্য লিটনকে বিবেচনায় রাখা হবে।

আরেকটা বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। টিম ম্যানেজমেন্টে ফিরছেন সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। তাঁকে দেওয়া হচ্ছে টিম ডিরেক্টরের দায়িত্ব। তিনি দলের সার্বিক দেখভাল করবেন। নির্বাচক প্যানেলে আসতে পারে পরিবর্তন। মিনহাজুল আবেদীন নান্নু হারাতে পারেন প্রধান নির্বাচকের পদ। ফিরতে পারেন সাবেক প্রধান নির্বাচক ও সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ।

কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো অবশ্য টিকে যাচ্ছেন। বোর্ড সূত্রে জানা গেছে বিসিবির সাথে তাঁর চুক্তির মেয়াদ ২০২৩ সাল অবধি বাড়ছে। এর অর্থ হল ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ এই প্রোটিয়া কোচের অধীনেই খেলবে বাংলাদেশ দল। ব্যাটি কোচ হিসেবে আলোচনায় আছে বাংলাদেশের সাবেক অস্ট্রেলিয়ান কোচ জেমি সিডন্সের নাম।

এদিকে, টেস্ট দলের অধিনায়কত্বে ফেরানো হতে পারে সাকিব আল হাসানকে। তবে, শর্ত একটাই, নিয়মিত খেলতে হবে টেস্ট। বর্তমান অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নয় বিসিবি। সাকিবের নিষেধাজ্ঞাজনিত কারণে দায়িত্ব পেয়েছিলেন মুমিনুল। এবার আবারো মুমিনুলের কাছ থেকে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব চলে যেতে পারে সাকিবের হাতে।

জানিয়ে রাখা ভাল, চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষেই বাংলাদেশ সফরে আসবে পাকিস্তান দল। তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ১৯, ২০ ও ২২ নভেম্বর। তিনটি ম্যাচই হবে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এরপর দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ২৬ নভেম্বর প্রথম টেস্ট শুরু হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে চার ডিসেম্বর, মিরপুরে।

১৬ নভেম্বর ঢাকায় পা রাখবে পাকিস্তান দল। এর আগে ১২ নভেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিক অনুশীলন শুরু করবে বাংলাদেশ দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link