বিরল কীর্তির চার নেতা

ক্রিকেটে অধিনায়কদের কাজটা বড়ই কঠিন। যেকোনো ব্যর্থতার প্রথম খড়গটা নেমে আসে অধিনায়কের উপরেই। তবে দলকে উজ্জীবিত করার পাশাপাশি অধিনায়ক যখন সামনে থেকে পারফর্ম করেন তখন দলের জয়ের পথটা সহজ হয়ে যায়।

ক্রিকেটে অধিনায়কদের কাজটা বড়ই কঠিন। যেকোনো ব্যর্থতার প্রথম খড়গটা নেমে আসে অধিনায়কের উপরেই। তবে দলকে উজ্জীবিত করার পাশাপাশি অধিনায়ক যখন সামনে থেকে পারফর্ম করেন তখন দলের জয়ের পথটা সহজ হয়ে যায়। আসুন দেখে নেয়া যাক ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরি করা অধিনায়কদের। 

  • তিলকারত্নে দিলশান (শ্রীলঙ্কা)

সাবেক শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক তিলকারত্নে দিলশান প্রথম অধিনায়ক হিসেবে তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন। অধিনায়ক হিসেবে সেঞ্চুরির যাত্রাটা শুরু করেন রাজকীয় ফরম্যাট টেস্ট দিয়েই।

লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৩৩ বলে ১৯৩ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেন এই ওপেনার। সবাই ধরেই নিয়েছিলেন দ্বিশতক করবেন এই তারকা, কিন্তু সাত রান দূরে থাকতেই স্টিভেন ফিনের বলে আউট হয়ে যান এই তারকা।

ওডিয়াইতে ২০১০ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলেন ১০২ বলে ১০৮ রানের চমৎকার এক ইনিংস। স্বাগতিকদের দেয়া ২০৩ রান তাড়া করতে নেমে তাঁর মারমুখী ব্যাটিংয়েই সহজ জয় পায় লংকানরা। 

অন্যদিকে, টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরির দেখা পান অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। পাল্লেকেলেতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে তাঁর ৮৫ বলে ১০৪ রানের ইনিংসে জয় পায় স্বাগতিকরা। 

  • ফাফ ডু প্লেসিস (দক্ষিণ আফ্রিকা)

গ্রায়েম স্মিথের অবসরের পর তিন ফরম্যাটেই দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়কের দায়িত্ব পান টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ফাফ ডু প্লেসিস। সেঞ্চুরিয়নে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে সেঞ্চুরি দিয়ে তাঁর যাত্রা শুরু।

১১২ রানের ইনিংস খেলা দু প্লেসিকে সেদিন আউট করতে পারেননি কিউই বোলাররা। অপরপ্রান্তের আসা – যাওয়ার মিছিল সামলে তিনি ছিলেন অপরাজিত। 

ওডিয়াইতে ২০১৬ সালে জোহানেসবার্গে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন ১১১ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস। একই মাঠে তাঁর আগের বছরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেন ১১৯ রান। 

  • বাবর আজম (পাকিস্তান)

পাকিস্তানের বর্তমান অধিনায়ক বাবর আজম সময়ের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তিনি দারুণ ধারাবাহিক। আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তানের ব্যাটিংকে স্থিরতা এনে দিয়েছেন এই তারকা। 

টেস্টে করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪২৫ বলে ১৯৬ রানের ম্যাচ বাঁচানো এক ইনিংস খেলেন বাবর। তাঁর অধিনায়কোচিত ইনিংসেই সেদিন জয়ের সমান ড্র নিয়ে ফেরে স্বাগতিকরা। দুর্দান্ত সেই ইনিংসে ২১ চারের পাশাপাশি একটি ছক্কাও হাঁকিয়েছিলেন এই তারকা। 

তবে কাপ্তান হবার পর প্রথম সেঞ্চুরিটা বাবর হাঁকিয়েছিলেন ওডিয়াইতে। ২০১৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দেন তিনি। অন্যদিকে, টি-টোয়েন্টিতে সুপার স্পোর্টস পার্কে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫৯ বলে অপরাজিত ১২২ রানের ইনিংস খেলেন বাবর। তাঁর ইনিংসে ভর করেই স্বাগতিকদের দেয়া ২০৪ রানের লক্ষ্য দুই ওভার থাকতেই পেরিয়ে যায় পাকিস্তান। 

  • রোহিত শর্মা (ভারত) 

প্রথম ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন রোহিত শর্মা। অধিনায়ক হিসেবে ওডিয়াই এবং টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি পেলেও টেস্টের সেঞ্চুরি অধরাই ছিল হিটম্যানের কাছে।

তবে, নাগপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১২০ রানের ইনিংস খেলে বিরল এই কৃতিত্বে নাম লেখান রোহিত। গত এক বছরে রোহিতের অফফর্ম নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছিল। এই ইনিংসেই যেন সকল সমালোচনার জবাব দিলেন রোহিত। 

এর আগে ২০১৭ সালে মোহালিতে অধিনায়ক হিসেবে ওডিয়াইতে সেঞ্চুরি করেন রোহিত। সেদিন বিরাট কোহলির অনুপস্থিতিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে কাপ্তানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

তাঁর ২০৮ রানের ইনিংসে সহজ জয় পায় ভারত। টি-টোয়েন্টিতে তাঁর একমাত্র সেঞ্চুরিও লংকানদের বিপক্ষে। অধিনায়ক হিসেবে ইন্দোরে সেদিন খেলেছিলেন ১১৭ রানের ইনিংস।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...