চুক্তি শর্তের বোর্ডের সাথে কঠোর অবস্থানে বাবর আজমরা!

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সাথে নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়ে এখনো সহাবস্থানে পৌঁছাতে পারেনি বাবর আজমরা। অথচ ২০২২-২৩ মৌসুমে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে গত ৩০ জুনেই।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সাথে নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়ে এখনো সহাবস্থানে পৌঁছাতে পারেনি বাবর আজমরা। অথচ ২০২২-২৩ মৌসুমে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে গত ৩০ জুনেই।

পুরনো চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকেই বোর্ডের কাছে বেশ কিছু দাবী রেখেছিল পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। এর মধ্যে ছিল বেতন বৃদ্ধিসহ ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলা ও বিজ্ঞাপনে অংশ নেওয়ার স্বাধীনতার প্রস্তাব। 

ক্রিকেটারদের এমন প্রস্তাবিত কাঠামোতে কেন্দ্রীয় চুক্তির ব্যাপারটা বিলম্ব হলেও পিসিবির তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, তাঁরা খেলোয়াড়দের সব প্রস্তাব মেনে নিতে রাজি। এখন আনুষ্ঠানিকতা বাকি রয়েছে মাত্র। 

তবে, পুরনো চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো পিসিবি থেকে কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়ে আসেনি কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। ফলে, পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে অসন্তোষ।

এর আগে পিসিবি তাদের প্রস্তাবিত কাঠামোতে, এ ক্যাটাগরির জন্য মাসিক ভিত্তিতে ৪৫ লাখ রূপি ও বি ক্যাটাগরির জন্য ৩০ লাখ রূপি নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে কর প্রদানের পর খেলোয়াড়রা তাতে পাবেন ২২ লাখ থেকে ২৩ লাখ রূপি।

তাই এই পারিশ্রমিক আরো বৃদ্ধির লক্ষ্যে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সই করেননি বাবর-শাহীনরা।  এ দিকে পিসিবির সাথে বাবরদের মতানৈক্য রয়েছে আরো দুটি জায়গায়। ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলার ক্ষেত্রে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের কখনোই অবাধ স্বাধীনতা ছিল না।

নতুন চুক্তিতে এই জায়গা থেকেই বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল তাঁরা। আর সেই লক্ষ্যেই খেলোয়াড়দের বিদেশি লিগ খেলার ক্ষেত্রে অনাপত্তিপত্র দিতে বোর্ড যেন আগের মতো বাঁধা প্রদান না করে, তারই দাবি এনেছিল ক্রিকেটাররা।

একই ভাবে, ক্রিকেটারদের বিজ্ঞাপনে অংশ নেওয়া নিয়েও পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা দাবি জানিয়েছিল। যদিও এখন পর্যন্ত পারিশ্রমিক নিয়ে ইতিবাচক কথা শোনা গেলেও পিসিবি থেকে বাকি ২ টি দাবির ব্যাপারে কোনো মন্তব্য শোনা যায়নি।

বরং পিসিবি থেকে কিছু ক্রিকেটারদের সতর্ক করা হয়েছে। কারণ তাঁরা নাকি বিদেশি লিগ ও বিজ্ঞাপন থেকে বেশি অর্থ প্রাপ্তির আশায় পিসিবির সাথে চুক্তি করতে রাজি নয়।

অবশ্য পিসিবি’র এক সূত্র জানাচ্ছে, পাকিস্তান ক্রিকেটে কেন্দ্রীয় চুক্তি প্রত্যাখ্যান করার কোনো ইতিহাস নেই। তাঁরা আশা করছে, ক্রিকেটাররা খুব শীঘ্রই আলোচনায় বসবে এবং দ্রুতই সব সমস্যার নিরসন হবে। 

এ দিকে ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ে পাকিস্তান আবারো শীর্ষে উঠে এসেছে। তবে এশিয়া কাপ ভরাডুবির পর দলের মধ্যে এক রকম অস্বস্তির হাওয়ায় বইছে। শোনা যাচ্ছে, এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে পড়ার পর বাক বিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন বাবর আজম আর শাহিন আফ্রিদি।

যদিও দলের আরেক সিনিয়র ক্রিকেটারের আবার দাবি, তেমন কিছুই হয়নি। তবে, ভিতরে ভিতরে খেলোয়াড়দের মধ্যে ও বোর্ডের সাথে দলের যে একটা দূরত্ব তৈরি হচ্ছে সেটা না বলে দিলেও চলে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...