পরে দেখা হবে, মোসাদ্দেক

দ্বিতীয় সারির দলে তাই মোসাদ্দেক হোসেন অনুমেয়ভাবেই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু সৈকত রয়ে গেলেন বিবেচনার বাইরে। বিশ্বকাপের প্রাথমিক দলের বাইরে থেকে অনেকে সুযোগ পেলেও ব্রাত্য থেকে গেলেন সৈকত। ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ পারফর্ম করা এ ক্রিকেটার তাই আর হতাশা লুকিয়ে রাখতে পারলেন না।

গুঞ্জন ছিল তিনি থাকবেন। অন্তত পরীক্ষা-নিরীক্ষার নিউজিল্যান্ড সিরিজে হলেও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের কথা স্মরণ করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু, সেটা সত্যি হয়নি। দলে ফেরা হয়নি মোসাদ্দেকের।

মোসাদ্দেক এশিয়া কাপের দলেও ছিলেন না। পরের সিরিজে জায়গা পাবেন, সেটিও অনুমিত ছিল না। তবে কিউইদের বিপক্ষে এ সিরিজে নিয়মিত ক্রিকেটারদের বিশ্রামে রাখা হয়েছে। মূলত বিশ্বকাপে নিশ্চিত নয়, কিন্তু ভাবনার দৌঁড়ে রয়েছেন তাদেরকেই এ সিরিজে নেওয়া হয়েছে। 

দ্বিতীয় সারির দলে তাই মোসাদ্দেক হোসেন অনুমেয়ভাবেই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু সৈকত রয়ে গেলেন বিবেচনার বাইরে। বিশ্বকাপের প্রাথমিক দলের বাইরে থেকে অনেকে সুযোগ পেলেও ব্রাত্য থেকে গেলেন সৈকত।

ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ পারফর্ম করা এ ক্রিকেটার তাই আর হতাশা লুকিয়ে রাখতে পারলেন না। ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এক স্ট্যাটাসে বলে দিলেন, ‘সি ইউ লেটার।’ 

সাত নম্বর পজিশনে কে খেলবেন, তা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি স্পিন করার দক্ষতা থাকায় সৈকত এ জায়গায় থাকতে পারতেন ম্যানেজমেন্টের বিবেচনায়।

কিন্তু প্রায় ৭/৮ ক্রিকেটারকে এই পজিশন পরখ করা হলেও মোসাদ্দেককে ভাবনাতেই রাখা হয়নি। বরং মোসাদ্দেকের চেয়ে কম পারফর্ম করেও অনেকে স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছেন। 

আর এ কারণেই সম্ভবত হতাশা লুকিয়ে রাখতে পারেননি মোসাদ্দেক। এর আগে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া না নিয়ে একবার এ ক্রিকেটার প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন, কেন জায়গা পান না, তার কোনো ব্যখ্যা তার কাছে নেই। 

মোসাদ্দেক জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন ২০২২ সালে, জিম্বাবুয়ে সিরিজে। অবশ্য সে সিরিজে বলার মতো কিছু করতে পারেননি এ ক্রিকেটার। এক ইনিংসে ব্যাটিংয়ে সুযোগ পেয়ে খেলেছিলেন ২৫ বলে ১৪ রানের ইনিংস। 

বাংলাদেশের একমাত্র বহুজাতিক শিরোপা জয়ের নায়ক তিনি। সেই তিনিই আবার দেশের ক্রিকেটের খুবই অনালোচিত এক চরিত্র। ক্যারিয়ারে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে তাঁর রান যেখানে ৬৩৪, সেখানে কেবল সাত নম্বরেই করেছেন ৪৫৫ রান। গড় ২৬ এর ওপরে। অথচ, এই জায়গাটায় কখনও লম্বা সময় সুযোগও পাননি মোসাদ্দেক।

একদম গোড়া থেকেই মোসাদ্দেককে নিয়ে বাংলাদেশের পরিকল্পনার অভাব ছিল। তিনি যে, ম্যাচ উইনার সেটার প্রমাণ তিনি ২০১৯ সালের সেই ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালেই দিয়েছেন। তাই বলে দেয়াই যায়, মোসাদ্দেক আরেকটু বেশি সুযোগের দাবি রাখেন।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...