তামিমের কারণেই বিশ্বকাপে ভরাডুবি হয়েছিল!

তামিম-হাতুরুর বৈরিতা বাংলাদেশ ক্রিকেটে ওপেন সিক্রেটই বটে। ধারণা করা হয়, বিশ্বকাপ দল থেকে তামিমের বাদ পড়ার ক্ষেত্রে লঙ্কান এই কোচই কলকাঠি নেড়েছিলেন। তবে চান্দিকা হাতুরুসিংহে মনে করেন, এই ইস্যুগুলো অতিরঞ্জিতভাবেই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি ক্রিকেট গণমাধ্যম ইএসপিএন,ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তামিমের সঙ্গে তাঁর দূরত্বসহ নানা ইস্যুতে মুখ খুলেছেন তিনি। 

তামিম-হাতুরুর বৈরিতা বাংলাদেশ ক্রিকেটে ওপেন সিক্রেটই বটে। ধারণা করা হয়, বিশ্বকাপ দল থেকে তামিমের বাদ পড়ার ক্ষেত্রে লঙ্কান এই কোচই কলকাঠি নেড়েছিলেন। তবে চান্দিকা হাতুরুসিংহে মনে করেন, এই ইস্যুগুলো অতিরঞ্জিতভাবেই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি ক্রিকেট গণমাধ্যম ইএসপিএন,ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তামিমের সঙ্গে তাঁর দূরত্বসহ নানা ইস্যুতে মুখ খুলেছেন তিনি।

তামিমের অবসর ইস্যুতে হাতুরু বলেন, ‘আসলে ওই সময় কী ঘটেছিল, আমি কিছুই জানতাম না। সত্যি বলতে, আমি এখনও জানি না কেন সে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।’

তবে তামিমের অবসর ইস্যুর পরই মূলত হাতুরুকে দায়ী করা হয়। কেননা, এরপর আর তামিমের সাথে সাক্ষাৎই হয়নি। এ ছাড়া আফগানিস্তান সিরিজে ইনজুরি নিয়েও খেলার কারণে তামিমের উপর নিজের অসন্তুষ্টি প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন এ কোচ। আর ওই সিরিজ চলাকালীনই তামিম আচমকা অবসরের ঘোষণা দেন।

এ নিয়ে হাতুরু বলেন, ‘দেখুন আমি সব সময়ই বলে আসছি, দলের চেয়ে কেউ বড় নয়। সে যখন অবসর নিলো, তখন আমাদের হাতে কিছু ছিল না। বিষয়টি তখন অন্য পর্যায়ে চলে গেছে। আমি আমার দল নিয়ে থেকেছি সে সময়।’

যদিও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে একদিন বাদেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসেন তামিম। যদিও এশিয়ার কাপের আগ মুহূর্তে ইনজুরির কারণ দেখিয়ে অধিনায়কত্ব থেকে অব্যাহতি নেন তামিম। বিস্ময়করভাবে, এ ওপেনার নিউজিল্যান্ড সিরিজে ফিরলেও বিশ্বকাপে আর সুযোগ পাননি। মূলত ইনজুরি শঙ্কাতেই আর তাঁকে দলে নেওয়া হয়নি সে সময়ে। ফলত, এশিয়া কাপের পর বিশ্বকাপের নেতৃত্ব আসে সাকিবের কাঁধে।

সে সময় সাকিব দাবি করেন, তামিমের এমন সিদ্ধান্তের কারণেই পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে বিশ্বকাপে যেতে পারেনি বাংলাদেশ। সাকিবের মতো একই সুর হাতুরুরও। তিনি বলেন, ‘হঠাত কোনো বড় পরিবর্তন ঘটলে, অবশ্যই প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটে। অন্য দলগুলো তিন বছর ধরে পরিকল্পনা করেছে। বিশ্বকাপের আগে এমন ঘটনা পুরো দলে অবশ্যই কিছু প্রভাব ফেলে। এছাড়া এবাদত ইনজুরির কারণে ছিটকে গেল। বিশ্বকাপে অবশ্য তাঁর সার্ভিস আমরা মিস করেছি।’

হাতুরুর উপর আরেকটি অভিযোগ হলো, তিনিই নাকি তামিমকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দিতে চাপ প্রয়োগ করেছিলেন। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘ওই সময়ে আমাকে কেউ কিছু বলেনি। আর এমন কোনো সিদ্ধান্ত শুধু কোচের মতামতের উপর ভিত্তি করেই হয় না।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...