কিছুদিন আগেই ছুটি নিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে; তবে এবার শোনা গেলো ভিন্ন তথ্য। ছুটির মেয়াদ শেষ হলেও বাংলাদেশে ফিরতে আগ্রহী নন তিনি। পুরো বাংলাদেশ যখন ব্যস্ত ঈদের প্রস্তুতিতে, তখন আকস্মিকভাবেই ছড়িয়ে পড়েছে এমন খবর। আপাতত গুঞ্জন হিসেবেই মানছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা, তবে গুঞ্জন যদি সত্য হয় তাহলে বড়সড় ঝামেলায় পড়বে বাংলাদেশ ক্রিকেট।
শ্রীলঙ্কা সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগেই ছুটি নিয়েছিলেন হাতুরু। সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল এতদিন; তবে একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, লঙ্কান কোচ তাঁদের ক্ষুদে বার্তায় জানিয়েছেন আর বাংলাদেশের কোচ হিসেবে থাকতে চান না তিনি। যদিও বিসিবি কর্তারা বলছেন এই ব্যাপারে কিছু জানা নেই তাঁদের।
দ্বিতীয় দফায় দলের প্রধান কোচ হয়ে গত বছর লাল-সবুজের দেশে এসেছিলেন হাতুরুসিংহে। কিন্তু শুরু থেকেই বিতর্ক ঘিরে রেখেছিল তাঁকে। বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে শুরু করে বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে দলীয় ব্যর্থতার জের ধরে ভক্ত-সমর্থকদের তোপের মুখে পড়েছিলেন তিনি।
আবার খালেদ মাহমুদ সুজনের মত প্রভাবশালী ক্রিকেট ব্যক্তিত্বের সঙ্গেও ব্যক্তিগত দ্বন্দ ছিল তাঁর। টিম ডিরেক্টরে পদে থাকলেও সুজনকে দলীয় সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ দেননি হাতুরু, সেটি নিয়ে সম্প্রতি ক্ষোভ ঝেড়েছেন সাবেক টাইগার অলরাউন্ডার। এছাড়া তামিম ইকবাল বা সাকিব আল হাসানের সঙ্গে কোচের সম্পর্ক কতটা ভাল তা নিয়েও প্রশ্ন তোলার সুযোগ রয়েছে।
নাজমুল হোসেন শান্তকে তিন ফরম্যাটেরই নেতৃত্বভার দিয়েছিল বিসিবি। লক্ষ্য ছিল দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় দলকে গুছিয়ে তোলা। ম্যাশ-হাতুরুর মতই শান্ত-হাতুরু জুটি বাংলাদেশকে সাফল্যের পথ দেখাবে। তবে সব আশা এখন দুরাশায় পরিণত হতে যাচ্ছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুই মাসও বাকি নেই, এমন সময়ে যদি সত্যিই চাকরি ছেড়ে দেন চান্দিকা তাহলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবেই। এত অল্প সময়ে নতুন কেউ এসে আবার শুরু থেকে পরিকল্পনা করাটা কঠিন হবে। এখন দেখার বিষয়, কি হয় আগামী কয়েক দিনে।