বরিশালকে হারিয়ে দুইয়ে চট্টগ্রাম

আগের ম্যাচেই অসম্ভব এক সমীকরণকে সম্ভব করে জয় চিনিয়ে এনেছিল ফরচুন বরিশাল, তবে আজ আর সম্ভব হলো না।

আগের ম্যাচেই অসম্ভব এক সমীকরণকে সম্ভব করে জয় চিনিয়ে এনেছিল ফরচুন বরিশাল। তবে আজ আর সম্ভব হলো না, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে এগিয়ে থেকেও হারতে হয়েছে তাঁদের। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৬ রানে পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে দলটি।

আগে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রামের দুই ওপেনারের শুরুটা হয়েছিল দুই রকম। একপ্রান্তে ঝড় তুলেছিলেন জস ব্রাউন, অন্যপ্রান্তে তানজিদ তামিম ছিলেন ধৈর্যশীল। তবে তামিম সেট হয়েও বড় রান করতে পারেননি, ১০ রান করে ফিরছেন তিনি। আর ব্রাউন আউট হয়েছেন ২৩ বলে ৩৮ রান করে। দুই ওপেনারের দ্রুত বিদায়ের পর হাল ধরেন টম ব্রুস।

শাহাদাত হোসেন দীপু, সৈকত আলীদের সঙ্গে ছোট ছোট জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেন তিনি। যদিও রান তোলার গতি সন্তোষজনক ছিল না, ফলে দারুণ সূচনা পাওয়া সত্ত্বেও মাঝের ওভারে খেই হারিয়ে ফেলে টিম চ্যালেঞ্জার্স।

শেষপর্যন্ত ব্রুস অপরাজিত থাকেন ৪০ বলে ৫০ রানে, বাকিদের কেউই পারেননি বিশ রানের গন্ডি পেরুতে। ফলে চট্টগ্রামও পারেনি ১৪৫ রানের বেশি তুলতে। অনেকদিন পর খেলায় ফেরা সাইফুদ্দিন, তাইজুলরা এদিন বেশ কিপ্টে বোলিং করেছেন।

রান তাড়ায় সাবধানেই শুরু করেন বরিশালের ওপেনার তামিম ইকবাল আর মোহাম্মদ শেহজাদ। কিন্তু এই জুটিকে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি আল আমিন, ১৬ রান করা শেহজাদকে ফেরান তিনি। এরপরই ধ্বস নামে দলটির ব্যাটিং লাইনআপে, একে একে ফিরে যান সৌম্য সরকার ও মেহেদি হাসান মিরাজ।

প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন অভিজ্ঞ তামিম, মুশফিক। তাঁদের ৩৯ রানের জুটিতে ম্যাচে ফিরে বরিশাল। মুশফিক ফিরলেও অবিচল থাকেন বাঁ-হাতি ওপেনার, কিন্তু ৪৯ রানে তিনি আউট হলে আবারো ম্যাচের গতিপথ বদলে যায়। টানা ডট বল আদায় করে এগিয়ে যায় শহিদুল ইসলামরা; জয়ের জন্য তখন চার ওভারে ৫০ রান প্রয়োজন ছিল বরিশালের।

কিন্তু সেই সমীকরণ আর মেলাতে পারেনি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা, নির্ধারিত লক্ষ্য থেকে ১৬ রান দূরে থাকতেই থামতে হয়েছে তাঁদের। ফলতঃ জয়ের ধারায় ফিরতে সক্ষম হয় চট্টগ্রাম। যদিও সৌম্য, মাহমুদউল্লাহরা আরেকটু দায়িত্ব নিয়ে খেললে ফলাফল অন্যরকম হতে পারতো।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...