সিলেট স্ট্রাইকার্সের পরাজয়ের ধারা চলছেই, একের পর এক ম্যাচ হেরেই চলছে তাঁরা। এবার চট্রগ্রাম চ্যালঞ্জার্সের বিপক্ষে আট উইকেটে হেরেছে মাশরাফি মর্তুজার দল। ব্যাটিং, বোলিং কোন বিভাগেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেনি তাঁরা; বিলাল খানের পেস আর তামিম-ব্রুসের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে উড়ে গিয়েছে টিম স্ট্রাইকার্স।
আগে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই বিলাল খানের তোপের মুখে পড়ে সিলেট। দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত আর মিথুন ফিরে যান শুরুতেই, আট রানে দুই উইকেটে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দলটি। জাকির হাসান, হ্যারি টেক্টরা চেষ্টা করেছেন সেই চাপ কাটিয়ে ওঠার; সেই চেষ্টা সফল হয়েছেে বটে কিন্তু প্রত্যাশিত রান রেট ছিল না তাঁদের জুটিতে।
তাই তো জাকির যখন আউট হন স্কোরবোর্ডে তখন মাত্র ৬৩ রান, অথচ এগারো ওভার প্রায় শেষ। এই অবস্থা থেকে আর বেরুতে পারেনি স্বাগতিকরা। রায়ান বার্লও পারেননি রানের গতি বাড়াতে, মাঝে ৪৫ রান করে টেক্টর ফিরলে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন একেবারে শেষ হয়ে যায় মাশরাফিদের।
ডেথ ওভারের যথাযথ ব্যবহার করতে না পারায় ১৩৭ রানেই থামে স্ট্রাইকার্সের ইনিংস। অবশ্য আরিফুল ইসলাম এক ছয় আর এক চারে ১২ বলে ১৭ রান না করলে হয়তো এতদূরও আসা হতো না দলটির।
জবাবে চট্টগ্রামকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার। আভিস্কা ফার্নান্দো বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে না পারলেও তানজিদ হাসান তামিমের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে ছয় ওভারে ৪৭ রান তোলে দলটি। অভিষিক্ত টম ব্রুসের সঙ্গে তাঁর সাবলীল ব্যাটিংয়ে জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে যায় বন্দরনগরীর প্রতিনিধিরা।
এই দুজন ৮৯ রানের জুটি গড়েন, ততক্ষণে হাফ সেঞ্চুরি করেন তানজিদ তামিম। যদিও ফিফটি করার পরেই আউট হয়ে যান এই তরুণ; দলীয় ১১২ রানে দুই উইকেটের পতন ঘটে। জয় থেকে তখন মাত্র ২৬ রান দূরে ছিল শুভাগত হোমের দল, তাই তো কোন বাড়তি সমস্যায় পড়তে হয়নি তাঁদের।
শেষ পর্যন্ত ব্রুসের অপরাজিত ফিফটিতে ভর করে ১৪ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় দলটি। এই জয়ে টেবিলে সবার উপরে উঠে এসেছে তাঁরা।