ঐতিহাসিক স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ সংস্কার করে নতুন ভাবে নিজদের হোম ভেন্যু প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চেলসি। বিভিন্ন ইংলিশ সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, চেলসি ক্লাবের মালিকানায় থাকা টড বোহলি ও বেহদাদ ইগবালি ইতোমধ্যেই বৈঠক করেছেন চেলসির এই স্টেডিয়ামের প্রজেক্ট নিয়ে। প্রায় ৫৫ হাজার ধারণ ক্ষমতা নিয়ে তৈরি হতে যাওয়া এই স্টেডিয়ামটি ইউরোপের অন্যতম সেরা স্টেডিয়াম হতে যাচ্ছে।
বর্তমানে চেলসি হোম ভেন্যু স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের দর্শক ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার। ইংল্যান্ডের বাকি জায়ান্টদের হোম ভেন্যু থেকে ধারণক্ষমতার দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে আছে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা-পূর্ণ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচের সময় দর্শক সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০৩০ সাল নাগাদ নতুন এই স্টেডিয়ামের কাজ শেষ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্টেডিয়ামের জন্য প্রস্তাবিত ২.১ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাবিত অর্থে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজকে নতুন ভাবে সংস্কার করা হবে নাকি সেই টাকায় স্ট্যামফোর্ড ব্রিজকে ভেঙে নতুন স্টেডিয়াম তৈরি করা হবে সেই বিষয়ে এখন সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে এখন পর্যন্ত নতুন স্টেডিয়াম তৈরি করার সম্ভাবনাই বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বর্তমান স্টেডিয়ামের পাশেই নতুন করে জমি কেনার চেষ্টা করছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এই উদ্যোগ সফল হবার ওপরই নির্ভর করছে স্টেডিয়াম নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয় চেলসি। যদি স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ ভেঙে নতুন স্টেডিয়াম তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় চেলসি তাহলে নতুন স্টেডিয়াম প্রস্তুত হবার আগ পর্যন্ত নিজেদের জন্য অন্তর্বর্তী হোম ভেন্যু খুঁজতে হবে চেলসিকে। লন্ডন্ডের ওয়েম্বলি কিংবা ক্রাভেন কোটেজ চেলসির সম্ভাব্য অন্তর্বর্তী হোম ভেন্যু হবার আলোচনায় আছে।
চেলসি ভক্তরা অবশ্য চাম স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের জায়গায় নতুন করে তৈরি হোক স্টেডিয়াম। খুব বেশি আগের কথা নয় যে, নিজেদের হোম ভেন্যু এনফিল্ডের জায়গায় নতুন করে স্টেডিয়াম তৈরি করেছে লিভারপুল। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের ক্ষেত্রেও লিভাপুলকে উদাহরণ হিসেবে নেয়ার পরামর্শ ভক্তদের।
মূলত দর্শক ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো মূল লক্ষ্য হলেও সার্বিক ভাবেই নিজেদের হোম ভেন্যু নতুন করে ঢেলে সাজাতে চায় চেলসি। নতুন ভাবে নির্মিত স্টেডিয়াম লন্ডনের সেরা স্টেডিয়াম তো বটেই, ইউরোপের অন্যতম সেরা স্টেডিয়াম হবে বলে আশা করছে চেলসি কর্তৃপক্ষ।