দুর্ভাগা এনজো-পালমার, চেলসির দু:স্বপ্ন

দলের দুই তারকা যখন দুর্ভাগ্যময় সময় পার করছেন চেলসি তখন ব্যস্ত পয়েন্ট হারানোতে। টেবিলের দুই নম্বরে থেকে লিভারপুলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিবে তাঁরা এমনটাই ছিল প্রত্যাশা, অথচ এখন টেবিলের চার নম্বরে নেমে গিয়েছে দলটি।

এনজো ফার্নান্দেজ কি আবারো হারিয়ে যাচ্ছেন? ছায়া হয়ে যাচ্ছেন? এইতো মাস দুয়েক আগে মাঠ আর মাঠের বাইরের দুঃসময় পিছনে ফেলে দারুণভাবে ফিরে এসেছিলেন তিনি। চেলসির হয়ে টানা সাত ম্যাচ গোল বা অ্যাসিস্ট করেছিলেন – কিন্তু আবার কি যেন হলো, পর পর তিন ম্যাচ স্কোরবোর্ডে নাম উঠাতে ব্যর্থ হলেন এই মিডফিল্ডার।

আর সেটার খেসারত দিতে হয়েছে চেলসিকে; তিন ম্যাচের সবকয়টিতেই পয়েন্ট হারিয়েছে তাঁরা। অথচ এভারটন, ফুলহ্যাম কিংবা ইপ্সউইচের বিপক্ষে তাঁদের ম্যাচ জেতাটা ছিল স্রেফ নব্বই মিনিটের ব্যাপার। কিন্তু এক ড্র আর দুই হারে সব হিসেব এলোমেলো করে দিয়েছে তাঁরা, বিশেষ করে নবাগত ইপ্সউইচের বিপক্ষে ২-০ গোলের হার বেশিই পীড়া দিবে তাঁদের।

এনজো অবশ্য চেষ্টার কমতি রাখেননি, পুরো মাঝ মাঠ নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চেষ্টা করেছেন ফরোয়ার্ডদের গোল বানিয়ে দিতে। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি; কখনো সতীর্থের ভুল কখনো আবার প্রতিপক্ষের দুর্ধর্ষ কোন প্রচেষ্টার কারণে বারবার আটকা পড়েছে তাঁর দল।

৪৭ মিনিটের সময় এই আর্জেন্টাইনের ক্রস থেকে জোয়াও ফেলিক্স গোল তো প্রায় করেই ফেলেছিলেন, কিন্তু গোললাইন থেকে ফেলিক্সের হেডার ফিরিয়ে দেন ওয়েস বার্নস। ৭৮ মিনিটের মাথায় নিকোলাস জ্যাকসনকেও গোলের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন চেলসি কাপ্তান, সেই যাত্রায়ও হতাশ করেন জ্যাকসন।

এনজো ফার্নান্দেজের পাশাপাশি ধার হারিয়েছেন কোলে পালমারও, মুড়ি মুড়কির মতন গোল আর অ্যাসিস্ট করতে থাকা এই তরুণ সবশেষ চার ম্যাচে পাননি কোন অ্যাসিস্ট, অন্যদিকে করেছেন স্রেফ একটা গোল। তিনিও অবশ্য ভাগ্যের দোষ দিতে পারেন, ইপ্সউইচের বিপক্ষেও তো তাঁর একটা শট গোলবারে লেগে ফিরে এসেছে।

দলের দুই তারকা যখন দুর্ভাগ্যময় সময় পার করছেন চেলসি তখন ব্যস্ত পয়েন্ট হারানোতে। টেবিলের দুই নম্বরে থেকে লিভারপুলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিবে তাঁরা এমনটাই ছিল প্রত্যাশা, অথচ এখন টেবিলের চার নম্বরে নেমে গিয়েছে দলটি।

Share via
Copy link