জ্যাকস ঝড়ে প্লে অফে চট্রগ্রাম

উইল জ্যাকসের ব্যাটিং ঝড়ে সিলেট সানরাইজার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্লে অফের টিকেট নিশ্চিত করলো চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ১০ ম্যাচে মাত্র এক জয়ে তিন পয়েন্টস নিয়ে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলো সিলেট।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ ভালো সূচনা করে সিলেট সানরাইজার্স। দলীয় ৪১ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। কলিন ইনগ্রাম ১৯ বলে ২৪ রানে ফেরার পর দ্রুতই ফিরেন মিজানুর রহমান। ৪৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর যখন চাপের মুখে সিলেট এরপর লেন্ডন সিমন্স ও এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে দ্রুতগতিতে এগোতে থাকে দলের রান।

দলীয় ১০০ রানে সিমন্স ২৭ বলে ৪২ রানে ফিরলে একই ওভারে ২৬ বলে ৩২ রানে আউট হন বিজয়। ১০২ রানে তখন ৪ উইকেট নেই সিলেটের। এরপর পঞ্চম উইকেটে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন রবি বোপারা ও মোসাদ্দেক হোসেন।

দু’জনে মিলে গড়েন ৪১ বলে ৮০ রানের বিধ্বংসী জুটি! দু’জনের ব্যাটে চড়ে দলীয় রান তখন ১৮০ পার। এরপর দলীয় ১৮২ রানে ২১ বলে ৪ ছক্কা আই ২ চারে বোপারা ৪৪ রানে ফিরলেও মোসাদ্দেকের ২২ বলে ২ ছক্কা ও ৩ চারে ৩৫ রানের ক্যামিওতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৫ রান সংগ্রহ করে সিলেট সানরাইজার্স। চট্রগ্রামের পক্ষে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।

জবাবে বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ২৫ রানেই প্রথম উইকেট হারায় চট্রগ্রাম। জাকির হাসান ফিরেন ৯ বলে ১৭ রানের ইনিংস শেষে। দ্রুতই ফিরেন অধিনায়ক আফিফ হোসেন! ৩৯ রানেই ২ উইকেট হারায় চট্রগ্রাম। তবে একপ্রান্তে দ্রুত রান তুলতে থাকেন উইলস জ্যাকস!

সেই সাথে তৃতীয় উইকেটে জ্যাকসের সঙ্গী হন চার্ডউইক ওয়ালটন। তৃতীয় উইকেটে দু’জনে মিলে গড়েন ৪১ বলে ৬৯ রানের দুর্দান্ত এক জুটি। এই জুটির পথে দলীয় ১০৮ রানে ২৩ বলে ২ ছক্কা ও ৩ চারে ৩৫ রানে ফিরেন ওয়ালটন।

তবে একপ্রান্তে জ্যাকসের তাণ্ডবে জয়ের দিকে এগোতে থাকে চট্টগ্রাম। দলীয় ১৪৩ রানে বেনি হাওয়েল ফিরলে শেষ ৪ ওভারে দরকার তখন ৩৩ রানের, হাতে ৬ উইকেট। সেখান থেকে শামিম পাটোয়ারীর ঝড়ে শেষ ৩ ওভারে দরকার মাত্র ১৯ রানের। দলীয় ১৭১ রানে ৭ বলে ২১ রানের ক্যামিও শেষে শামিম ফিরলে শেষ ২ ওভারে তখন দরকার ছিলো মাত্র ১৩ রানের।

মেহেদী হাসান মিরাজ দ্রুত ফিরলেও উইল জ্যাকসের অপরাজিত ৫৭ বলে ৯২ রানের ইনিংসে ৫ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটের জয়ে প্লে অফ নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

সিলেট সানরাইজার্স – ১৮৫/৬ (২০ ওভার); বোপারা ৪৪(২১), সিমন্স ৪২(২৭), মোসাদ্দেক ৩৫(২২)*; মৃত্যুঞ্জয় ৪-০-৩৭-৩, মেহেদী মিরাজ ৪-০-৩৬-১

চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স – ১৮৮/৫ (১৯.১ ওভার); জ্যাকস ৯১(৫৭)*, ওয়ালটন ৩৫(২৩), শামিম ২১(৭), জাকির ১৭(৯); গাজী ৩-০-২১-২, বাবু ৩.১-০-৩২-২।

ফলাফল: চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৫ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচ সেরা: উইল জ্যাকস (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link