শেষ ওভারে থ্রিলার জয় চট্টগ্রামের!

আন্দ্রে ফ্লেচার ও ইয়াসির আলী রাব্বির তাণ্ডবের পরেও মেহেদী হাসান মিরাজ ও শরিফুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ ওভারে ৭ রানের জয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স!

আন্দ্রে ফ্লেচার ও ইয়াসির আলী রাব্বির তাণ্ডবের পরেও মেহেদী হাসান মিরাজ ও শরিফুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ ওভারে ৭ রানের জয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স!

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই জাকির হাসান ও আফিফ হোসেনকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে চট্টগ্রাম। মাত্র ১৬ রানেই দলের ২ উইকেট নেই! এরপর কেনার লুইসের দাপটে তৃতীয় উইকেটে দ্রুত কিছু রান পায় চট্রগ্রাম। দলীয় ৫৪ রানে ৩২ বলে ৩৯ রানের অসাধারণ ইনিংস শেষে লুইস ফিরলে তৃতীয় উইকেট হারায় চট্রগ্রাম।

দ্রুতই ফিরেন শামিম পাটোয়ারীও! মাত্র ৬৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তখন ব্যাকফুটে চট্রগ্রাম। ঠিক তখনি চার্ডউইক ওয়ালটন ও মেহেদি মিরাজের ব্যাটে দ্রুত রান এগোতে থাকে। একদিকে ওয়ালটনের ঝড়ো ব্যাটিং আরেকদিকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে মিরাজের উইকেটে টিকে থাকায় বিপাকে পড়ে খুলনা।

একপ্রান্তে তাণ্ডব চালিয়ে ওয়ালটন তুলে নেন ফিফটি। মিরাজ ৩০ বলে ৩৬ রানের ইনিংস শেষে আউট হলেও ওয়ালটনের দাপুটে ব্যাটিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে খুলনার বোলিং শিবির। ওয়ালটনের হার না মানা ৪৪ বলে ৭ ছক্কা ও ৭ চারে ৮৯ রানের ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৯ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। খুলনার পক্ষে খালেদ আহমেদ শিকার করেন ২ উইকেট।

জবাবে বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে দলীয় ২১ রানেই মেহেদি হাসান আউট! একপ্রান্তে আন্দ্রে ফ্লেচার ব্যাট হাতে ঝড় তুললেও আরেকপ্রান্তে সৌম্য ফিরেন মাত্র ১ রান করে! ৪৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে তখন চাপের মুখে খুলনা। এরপর তৃতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহিম ও ফ্লেচারের ঝড়ে আবারো ম্যাচ নিজেদের আধিপত্যে নেয় খুলনা।

তৃতীয় উইকেটে দু’জনের ৬৪ রানের জুটির পথে ফিফটি তুলে নেন ফ্লেচার। তবে দলীয় ১০৭ রানে ব্যক্তিগত ২৯ বলে ৪৩ রানে মুশফিক ফিরলে আবারও চাপে পড়ে খুলনা। শেষ ৪ ওভারে দরকার ছিলো ৪৩ রানের। ইয়াসির আলি রাব্বি ও ফ্লেচার দাপটে ম্যাচে তখনো আধিপত্য খুলনার।

মৃৃত্যঞ্জয়ের ১৮ তম তম ইয়াসিরের তাণ্ডবে আসে ১৯ রান! ম্যাচ তখন খুলনার নিয়ন্ত্রণে! শেষ ২ ওভারে দরকার ২৪ রান, হাতে তখনো ৭ উইকেট! এরপর ১৯ তম ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকানোর পর তৃতীয় বলে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন ইয়াসির। ২৪ বলে ৪ ছক্কায় খেলেন ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংস! ১৯ তম ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়ে ১ উইকেট শিকার করেন শরিফুল।

শেষ ওভারে তখন খুলনার প্রয়োজন ১৬ রানের, ক্রিজে ফ্লেচার ও থিসারা পেরেরা। শেষ ৪ বলে ১৪ রান! মিরাজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৭ রানের শ্বাসরুদ্ধকর জয় পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স!

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স – ১৮৯/৫ (২০ ওভার); ওয়ালটন ৮৯(৪৪), লুইস ৩৯(৩২), মিরাজ ৩৬(৩০); খালেদ ৪-০-৪০-২, নাবিল ৪-০-১৫-১, মেহেদি ৩-০-৩৭-১।

খুলনা টাইগার্স – ১৮২/৫ (২০ ওভার); ফ্লেচার ৭৯(৫৭)*, ইয়াসির ৪৫(২৪), মুশফিক ৪৩(২৯); নাসুম ৪-০-২৪-১, মৃত্যুঞ্জয় ৪-০-৩৪-১, মিরাজ ৪-০-৪০-২।

ফলাফল: চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৭ রানে জয়ী।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...