অবশেষে খুললো স্যাভিনহোর গোলের দুয়ার

ম্যানচেস্টার সিটির জার্সি গায়ে জড়ানোর পর থেকেই গোলের সঙ্গে আড়ি পেতেছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান। ১৪ ম্যাচ খেলে ২৭টা শট নিয়েও একটাবারের জন্য জালের দেখা পাননি তিনি, সমালোচনার চেয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপটাই শোনা যাচ্ছিলো বেশি। তবে লেস্টার সিটির বিপক্ষে অবসান ঘটলো সবকিছুর, উদযাপনের উপলক্ষ পেলেন তিনি।

ফিল ফোডেনের শট ফিরিয়ে দিয়েছিলেন গোলরক্ষক, আর সেটাই আশীর্বাদ হয়ে এসেছে স্যাভিনহোর জন্য। এক দৌড়ে বলের কাছে পৌঁছেই রকেট গতির শট এবং গোল – সম্ভবত আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার চেয়ে বেশি আনন্দ তখন পেয়েছিলেন তিনি। পাবেন না-ই বা কেন, প্রিমিয়ার লিগে এটাই তো তাঁর প্রথম গোল।

ম্যানচেস্টার সিটির জার্সি গায়ে জড়ানোর পর থেকেই গোলের সঙ্গে আড়ি পেতেছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান। ১৪ ম্যাচ খেলে ২৭ টা শট নিয়েও একটাবারের জন্য জালের দেখা পাননি তিনি, সমালোচনার চেয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপটাই শোনা যাচ্ছিলো বেশি। তবে লেস্টার সিটির বিপক্ষে অবসান ঘটলো সবকিছুর, উদযাপনের উপলক্ষ পেলেন তিনি।

আর এই তরুণের ক্যারিয়ার সেরা মুহূর্তের সুবাদে জয়ের ধারায় ফিরলো ম্যানসিটি। সপ্তাহের পর সপ্তাহ পয়েন্ট হারানোর পর অবশেষে পূর্ণ তিন পয়েন্টের স্বাদ পেলো তাঁরা – অবশেষে জয়ের স্বাদ পেলো।

সিটির সেলেসাও উইঙ্গার অবশ্য গোল করেই থেমে থাকেননি, গোলের ধারায় ফিরিয়েছেন স্ট্রাইকার আর্লিং হাল্যান্ডকেও। লেফট উইং থেকে নিঁখুত ক্রসে তিনি খুঁজে নিয়েছিলেন হাল্যান্ডকে, দুর্দান্ত এক হেডারে চার ম্যাচ পর গোল করেন এই নরওয়েজিয়ান।

গতি, ড্রিবলিং আর ছন্দময়তার জন্য জিরোনায় থাকাকালেই লাইমলাইটে উঠে এসেছিলেন স্যাভিনহো। ক্লাবটির হয়ে ৪১ ম্যাচে ২১ গোলে অবদান রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু সিটিতে এসে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন। যদিও পেপ গার্দিওলা ভরসা হারাননি, টানা সুযোগ দিয়েছেন শুরুর একাদশে। এবার কি তবে প্রতিদান দেয়ার সময় এসেছে?

এই একটা গোল সাম্বা বয়ের জন্য আরো অনেক গোলের দরজা খুলে দিবে এমনটাই প্রত্যাশা ভক্তদের। সেই সাথে প্রত্যাশা আছে সিটিজেনদের ঘিরেও, বছরের শেষটা তাঁরা করেছে জয় দিয়ে। এবার নতুন বছরে নিজেদের আরো উপরে নিয়ে যাওয়ার পালা।

Share via
Copy link