গলের মধ্যে ক্যারিবিয়ান এক রকমেত ফ্লেভার আছে। এক পাশে সমুদ্র, গল ফোর্ট, আর এক পাশে একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এই অপার সৌন্দর্যতে হঠাৎ করে ফিল সিমন্সকে দেখলে কোনো ট্যুরিস্ট ভেবে ভুল করতে পারে যে কেউ।
ভাগ্যিস শরীরে তাঁর বাংলাদেশের প্র্যাকটিস কিট আছে। ক্রিকেটীয় সম্ভবত এই একটা ব্যাপারই সাবেক এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অলরাউন্ডারের মধ্যে বিদ্যমান। এমনকি বাংলাদেশ দলের ওপরও তাঁর তেমন কোনো প্রভাব নেই।
তাঁর চেয়ে বরং স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ ক্রিকেটারদের কাছের মানুষ। সহকারী কোচ সালাহউদ্দিনও তাই। এই দুজন মিলেই কোচিং পরিকল্পনা সাজালেন গলের নেটে, সিমন্স থাকলেন না থাকার মত করেই। মুশতাক স্পিনারদের সাথে কথা বললেন, এগিয়ে গিয়ে শান্তকে কি যেন বললেন।
গলে সুয্যি মামা দেখা দিল দিন দুয়েক বাদে। তার মধ্যে অনুশীলনে নামা বাংলাদেশের কোচ শরীর এলিয়ে দিয়ে এদিক সেদিক উদ্দেশ্যহীন ভাবে হাঁটলেন। একবার তাঁকে কেবল টেস্ট অধিনায়ক শান্তর সাথে কথা বলতে দেখা গেল। বাকিটা সময় তিনি নীরব দর্শক। যেন পরিবারের সেই বাবা যিনি নিজেকে বিলিয়ে দিলেও তাঁর সাথে কারও কোনো বনিবনা নেই।
অবশ্য, ফিল সিমন্স নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারছেন আর কোথায়। মাঠের খেলায় ফলাফল আনতে পারছে না বাংলাদেশ। আরব আমিরাতের বিপক্ষেও এখন বাংলাদেশকে সিরিজ হারতে হয়, টেস্ট ম্যাচ হারতে হয় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও।
সেই দায় কোচের কম নয়। চান্দিকা হাতুরুসিংহেকে বিদায় করে সিমন্সকে কোচ বানিয়ে এনেছিলেন সাবেক বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ। ফারুক আর বোর্ডে নেই, বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সের গ্রাফ এমন থাকলে সিমন্সও আর থাকবেন না বেশিদিন। কোচ আসবেন আর যাবেন, দলের ভাগ্য পাল্টাবে না। এই তো বাংলাদেশ দলের চিরায়ত পরিণতি।