নট আ গ্র্যান্ড এন্ডিং!

লম্বা, ফর্সা, কাঁধ ছাপানো চুলের ছেলেটি এক সময় নিউজিল্যান্ডের হয়ে ক্রিকেট অনুরাগীদের তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। ব্যাটে-বলে ম্যাচ উইনার এই ক্রিকেটার দেখলে মনে সমীহ জাগে, ভরসা হয়। এক দশকের ক্যারিয়ারে নিউজিল্যান্ড দলকে ভরসা যুগিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শুরু হলে তো শেষ হতেই হয় - বর্ণাঢ্য এক আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকে তাই বিদায় বলে দিয়েছেন কিউই অলরাউন্ডার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম।

লম্বা, ফর্সা, কাঁধ ছাপানো চুলের ছেলেটি এক সময় নিউজিল্যান্ডের হয়ে ক্রিকেট অনুরাগীদের তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। ব্যাটে-বলে ম্যাচ উইনার এই ক্রিকেটার দেখলে মনে সমীহ জাগে, ভরসা হয়। এক দশকের ক্যারিয়ারে নিউজিল্যান্ড দলকে ভরসা যুগিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শুরু হলে তো শেষ হতেই হয় – বর্ণাঢ্য এক আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকে তাই বিদায় বলে দিয়েছেন কিউই অলরাউন্ডার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম।

কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম হঠাৎ করেই জানিয়ে দিয়েছেন নিজের অবসরের খবর। ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট এবং জাতীয় দলের দ্বৈরথ তাঁর এই আকস্মিক অবসরের অন্যতম বড় কারণ।

নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের (এনজেডসি)  পক্ষ থেকে এই অলরাউন্ডারের অবসরের যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে লেখা রয়েছে, ‘এটা মেনে নিতে হবে যে, আমি ( ডি গ্র্যান্ডহোম) আগের মতো আর তরুণ নই। বারবার ইনজুরির জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হয়। তাই ম্যাচ খেলা কিংবা অনুশীলন করাও কঠিন হয়ে পড়ছে। ক্রিকেট ছাড়ার পর ভবিষ্যৎ কী হবে জানা নেই। শেষ কয়েকটা সপ্তাহ ধরে এগুলো নিয়ে প্রচুর চিন্তাভাবনা করেছি। বিদায় জানানোর এটাই সঠিক সময়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার ক্যারিয়ার নিয়ে আমি গর্বিত।’

মূলত সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া বিগ ব্যাশ লিগে দল পেয়েছিলেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকার কারণে বিগ ব্যাশ লিগে খেলার অনুমতি পাওয়া হচ্ছিলো না তাঁর। তাই বিগ ব্যাশ বা জাতীয় দল – এই দুইটির মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে হত তাঁকে। ৩৬ বছর বয়সী অলরাউন্ডার বেছে নিয়েছেন প্রথমটিকে। অজি লিগে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের হয়ে খেলার জন্য জাতীয় দলের ক্যারিয়ার বিসর্জন দিলেন এই ডানহাতি।

২০২২ সালের জুন মাসে নিউজিল্যান্ডের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। এরপর থেকেই ক্রমাগত চোটেও ভুগছিলেন তিনি। কিউই দলেও অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলেন এই বর্ষীয়ান ক্রিকেটার। তাই হয়তো পুরোপুরিভাবে বিদায়ী পথের পথিক হয়েছেন।

কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম কিউইদের হয়ে সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল ছিলেন টেস্ট ক্রিকেটে। নিজের ২৯ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৪৩২ রান করেছেন। এবং সেই সাথে তুলে নিয়েছেন ৪৯টি উইকেটও। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ড দলের ১৮টি টেস্ট জয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। গ্র্যান্ডহোম দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করেছেন।

এছাড়া ওয়ানডেতে ৪৫ ম্যাচে ৭৪২ রান করেছেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। অন্যদিকে বল হাতে শিকার করেছেন ৩০ উইকেট। আবার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৪১ ম্যাচে ৫০৫ রান এবং ১২টি উইকেটের মালিক এই ক্রিকেটার।

একজন মিডিয়াম পেস বোলার এবং লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজের দায়িত্ব বেশ ভালভাবেই পালন করেছেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। ইনজুরির কারণে অনিয়মিত না হলে হয়তো আরো সমৃদ্ধ হতো তাঁর ক্যারিয়ার।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেও নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যেতে চান কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। এই লক্ষ্যে তিনি শীঘ্রই নর্দান ডিস্ট্রিক্টের সঙ্গে কথা বলতে চলেছেন।

নিজের বিদায়ী বার্তায় গ্র্যান্ডহোম বলেছেন, ‘আমি আমার সতীর্থ খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ এবং অন্যান্য দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে যে আজীবন বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে, তা আমি এটি সারা জীবন মনে রাখব।’

কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম যেমন মনে রাখবেন কিউই ক্রিকেট আর সতীর্থদের; তেমনি তারাও মনে রাখবে এই ক্রিকেটারকে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...