মাহমুদুল হাসান জয় ও মঈন আলির ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর সুনীল নারাইনের ক্যামিওতে ১ বল বাকি থাকতে সিলেট সানরাইজার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এই জয়ে প্লে-অফের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল তাঁরা।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে সিলেট সানরাইজার্স। দুই ওপেনার এনামুক হক বিজয় ও কলিন ইনগ্রামের তাণ্ডবে ওপেনিং জুটিতেই আসে ১০৫ রান! ১১ ওভারেই দলের রান ১০০ পার! ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন ইনগ্রাম। এরপর দলীয় ১০৫ রানে ৩৩ বলে ৩ ছক্কা ও ৪ চারে ৪৬ রানের অসাধারণ ইনিংস শেষে আউট হন এনামুল।
তবে, একপ্রান্তে দ্রুত রান তুলতে থাকেন ইনগ্রাম। লেন্ডন সিমন্স, রবি বোপারাদের কাছ থেকে সাপোর্ট না পেলেও একাই টেনে নেন দলকে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ইনগ্রামের ৬৩ বলে ৩ ছক্কা ও ৯ চারে ৮৯ রানের ঝড়ো ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে সিলেট সানরাইজার্স।
শেষ ওভারে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১১ রান দূরে থাকতে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে আউট হন ইনগ্রাম। কুমিল্লার পক্ষে মুস্তাফিজ একাই ২৩ রানে শিকার করেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট।
১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট তাড়া করতে নেমে মাত্র ২২ রানেই লিটন দাস ও ফাফ ডু প্লেসিসকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে কুমিল্লা। লিটন ৭ ও ফাফ ফিরেন মাত্র ২ রানে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে মাহমুদুল হাসান জয় ও মঈন আলীর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় কুমিল্লা।
দু’জনের ব্যাটিং ঝড়ে বিপর্যয়ে কাটিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দু’জনে মিলে গড়েন ৮২ রানের জুটি। এরপর দলীয় ১০৪ রানে ৩৫ বলে ৪৬ রানে মঈন আলী ফিরলেও আরেকপ্রান্তে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন জয়!
এরপর ৮ বলে ১৬ রানের ক্যামিও শেষে ফিরে যান ইমরুল কায়েসও। শেষ তিন ওভারে প্রয়োজন ২৯ রানের, হাতে তখনো ৬ উইকেট। ১৮ তম ওভারে পর পর দুই বলে জয় ও আরিফুল হককে ফিরিয়ে কুমিল্লাকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন আলাউদ্দিন বাবু। তবে ১৯ তম ওভারে নারাইনের ঝড়ে ওই ওভার থেকে ১৯ রান আসলে শেষ ওভারে দরকার ছিলো মাত্র ৩ রানের! ১ বল বাকি থাকতে আবু হায়দার রনির বাউন্ডারিতে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কুমিল্লা।
- সংক্ষিপ্ত স্কোর
সিলেট সানরাইজার্স – ১৬৯/৫ (২০ ওভার); ইনগ্রাম ৮৯(৬৩), এনামুল ৪৬(৩৩), সিমন্স ১৬(১৩); মুস্তাফিজ ৪-০-২৩-৩, মঈন ৩-০-২৭-১, নারাইন ৪-০-৩৪-১।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স – ১৭৩/৬ (১৯.৫ ওভার); জয় ৬৫(৫০), মঈন ৪৬(৩৫), নারাইন ২৩(১০)*, ইমরুল ১৬(৮); অপু ৪-০-৩৬-২, স্বাধীন ৪-০-২৯-১, বাবু ৩.৫-০-২৪-২।
ফলাফল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৪ উইকেটে জয়ী।