রংপুরকে উড়িয়ে টানা হ্যাটট্রিক শিরোপার পথে কুমিল্লা

বিপিএল মানেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের আধিপত্য। শেষ দুই আসরের চিত্রটা ছিল এমনই। তবে এখনই আপাতত তাদের শিরোপার জয়রথ থামছে না। প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সবার আগে ফাইনালে পা রাখলো চার বারের শিরোপাজয়ী দলটা। শুধু তাই নয়, রংপুরকে হারিয়ে এখন হ্যাটট্রিক শিরোপায় চোখ রাখছে লিটন দাসের দল। 

বিপিএল মানেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের আধিপত্য। শেষ দুই আসরের চিত্রটা ছিল এমনই। তবে এখনই আপাতত তাদের শিরোপার জয়রথ থামছে না। প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সবার আগে ফাইনালে পা রাখলো চার বারের শিরোপাজয়ী দলটা। শুধু তাই নয়, রংপুরকে হারিয়ে এখন হ্যাটট্রিক শিরোপায় চোখ রাখছে লিটন দাসের দল।

মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম কোয়ালিফায়ারে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান তুলেছিল রংপুর। শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয় ঘটলে জিমি নিশামের অপরাজিত ৯৭ রানের তাণ্ডবে বড় লড়াকু পুঁজি পায় তারা। তবে তার বিপরীতে লিটন দাস আর তাওহীদ হৃদয়ের জোড়া ফিফটিতে ৯ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

অবশ্য এ দিন শুরুতেই আধিপত্য দেখিয়েছিল কুমিল্লার বোলাররা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে তানভির ইসলামকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে শূন্য রানেই ফিরে যান শামীম পাটোয়ারি। এরপর আরেক ওপেনার রনি তালুকদারও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১১ বলে ১৩ রান করেন তিনি। দুই ওপেনারের মতো সাকিব আল হাসানও ফেরেন ক্যাচ দিয়ে। আর এতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে রংপুর রাইডার্স।

তবে ২৭ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে ধুঁকতে থাকা রংপুরের ইনিংসকে প্রাণ দেন চতুর্থ জিমি নিশাম।  শেখ মেহেদিকে সঙ্গে নিয়ে ৩৯ রানের জুটি গড়েন এই কিউই ব্যাটার। এরপর নুরুল হাসান সোহানও খেলেন ৩০ রানের কার্যকরী এক ইনিংস। তবে জিমি নিশাম এ দিন একাই ম্লান করে দেন কুমিল্লা বোলারদের ডেথ ওভারের চেষ্টা। শেষ ওভারে হাঁকান ৩ ছক্কা। আর তাতেই ১৮৫ রানের পুঁজি পায় রংপুর।

জবাবে শুরুতে সুনীল নারাইনের উইকেট হারিয়ে শুরুটা একদমই ভাল হয়নি কুমিল্লার। তবে তিনে নামা তাওহীদ হৃদয় পুরো টুর্নামেন্টের মতো এদিনও জ্বলে ওঠেন ব্যাট হাতে। লিটন দাসও এক প্রান্ত ধরে সঙ্গ দেন হৃদয়কে। এ দুই ব্যাটারের ১৪৩ রানের জুটিতেই মূলত জয়ের ভিত্তি পেয়ে যায় কুমিল্লা।

হৃদয় ৬৪ রানে ফিরে গেলেও লিটন পঞ্চাশ পেরিয়ে খেলেন ৮৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। শেষ দিকে এ ব্যাটার আউট হয়ে গেলেও অবশ্য তাদের জয়ভাগ্য পাল্টে যায়নি। আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন মঈন আলী ও আন্দ্রে রাসেল। উনিশ তম ওভারের তৃতীয় ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করেন মঈন আলী।

অবশ্য ম্যাচ হেরে গেলেও ফাইনাল ওঠার লড়াই থেকে এখনও ছিটকে যায়নি রংপুর রাইডার্সও। পরবর্তী কোয়ালিফায়ারকে বরিশালকে হারাতে পারলে আবারো কুমিল্লার বিপক্ষে ফাইনালে দেখা যাবে তাদের।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...