যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা সংক্রান্ত প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে বাংলাদেশে এসেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। তাই তো সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে দলের সেরা বোলারের সেবা পায়নি চেন্নাই সুপার কিংস। অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড় তো ম্যাচের আগে বলেই দিয়েছিলেন দ্য ফিজকে মিস করবেন তাঁরা। শেষপর্যন্ত হয়েছেও তাই, তাঁর অভাব কেউই পূরণ করতে পারেননি। মুস্তাফিজ বিহীন চেন্নাই হেরে গিয়েছে হায়দ্রাবাদের কাছে।
ম্যাচের ফলাফল অবশ্য অনেক আগেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। স্বাগতিক ওপেনার অভিষেক শর্মার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে কোন প্রতিরোধ গড়ার সুযোগ পায়নি চেন্নাই। এই বাঁ-হাতি ব্যাটার স্রেফ ১২ বল খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তাতেই করেছেন ৩৭ রান। এর মাঝে ৩৬ রানই করেছেন বাউন্ডারি থেকে; আর সেজন্য বল লেগেছে কেবল সাতটি।
অভিষেক ছাড়াও দলের জয়ে অবদান রেখেছেন প্রোটিয়া তারকা এইডেন মার্করাম। তিন নম্বরে নেমে দায়িত্বশীল ব্যাটিং উপহার দিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে গড়েছেন ৬০ রানের জুটি। এতেই মূলত চেন্নাইয়ের লড়াই করার সম্ভাবনা পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়। ইনিংসের চৌদ্দতম ওভারে আউট হওয়ার আগে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই ব্যাটার; সেই সাথে প্রতিপক্ষকে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে দেন।
আরেক বিদেশি ট্রাভিস হেডের ব্যাট থেকে এসেছে ৩১ রান। এছাড়া শেষদিকে শাহবাজ নাদিম করেছেন আরো ১৮ রান। তাতেই ছয় উইকেট আর ১১ বল হাতে রেখে দুই পয়েন্ট ঘরে তোলে প্যাট কামিন্সের দল। ফলতঃ টানা দ্বিতীয় পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পায় মহেন্দ্র সিং ধোনিরা।
এর আগে চেন্নাইয়ের ব্যাটিংয়ের শুরু খুব একটা খারাপ হয়নি। দুই ওপেনার আহামরি পারফরম করতে না পারলেও আজিঙ্কা রাহানে আর শিভাম দুবে ভালভাবেই সামলেছেন হায়দ্রাবাদের বোলারদের। এই দু’জনের ৬৫ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত্তি তৈরি হয়েছিল বটে, কিন্তু সেটার ফায়দা তুলতে পারেননি পরের দিকের ব্যাটাররা।
ড্যারেল মিশেলকে সঙ্গে নিয়ে রবীন্দ্র জাদেজা ডেথ ওভারে ৩৩ রানের জুটি গড়লেও তাঁদের রান তোলার গতি সন্তোষজনক ছিল না। ফলে ১৮০ রানের বেশি করার সম্ভাবনা থাকলেও ১৬৫ রানে থামে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ইনিংস।