শিভাম দুবে, সত্যিকারের ‘ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার’

২০২২ মৌসুমে চেন্নাই সুপার কিংসে যোগ দেয়ার পর দলটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বনে গিয়েছেন দুবে। ব্যতিক্রম হয়নি চলতি আইপিএলেও, ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে প্রতি ম্যাচই খেলেছেন তিনি; ইম্প্যাক্টফুল পারফরম্যান্স দেখাতেও ভুল হচ্ছে না তাঁর।

হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাকআপ হিসেবেই ভারতীয় ক্রিকেটে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন শিভাম দুবে। ২০১৯ সালে জাতীয় দলেও অভিষেক হয়েছিল তাঁর, যদিও প্রতিভার প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ফলে জায়গা হারিয়েছেন দলে, এরপর আইপিএলেও নিজের সেরাটা দিতে পারেননি তিনি। যদিও ২০২২ মৌসুমে চেন্নাই সুপার কিংসে যোগ দেয়ার পর বদলে গিয়েছে দৃশ্যপট, দলটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বনে গিয়েছেন দুবে।

ব্যতিক্রম হয়নি চলতি আইপিএলেও, ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে প্রতি ম্যাচই খেলেছেন তিনি; ইম্প্যাক্টফুল পারফরম্যান্স দেখাতেও ভুল হচ্ছে না তাঁর। সর্বশেষ সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ২৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেছেন এই ব্যাটার। দুর্দান্ত ইনিংসটি খেলার পথে দুই চারের সঙ্গে চারটি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি।

এই তারকা যখন বাইশ গজে আসেন চেন্নাই তখন কিছুটা ব্যাকফুটে; ইনফর্ম রাচিন রবীন্দ্র বড় রান করতে পারেননি, অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়ও সেট হয়ে উইকেট দিয়ে এসেছিলেন। দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিতে তাই দারুণ কিছু করতেই হতো তাঁকে; সেটাই করেছেন তিনি।

তৃতীয় বলে ছয় মেরে রানের খাতা খুলেছিলেন এই অলরাউন্ডার। পরের বলে মেরেছিলেন চার – এরপর স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং চালিয়ে গিয়েছেন আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত। প্যাট কামিন্স স্রোতের বিপরীতে তাঁর উইকেট তুলে না নিলে হয়তো আরো অনেকটা সময় বোলারদের শাসন করতেন তিনি।

এখন পর্যন্ত সব ম্যাচেই বলতে গেলে রান পেয়েছেন এই বাঁ-হাতি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে অপরাজিত ৩৪ রান করেছিলেন তিনি, এরপর গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে তো হাফসেঞ্চুরি করার পাশাপাশি জিতেছিলেন ম্যাচসেরার পুরষ্কারও। অর্থাৎ তাঁর ব্যাট যে রান মেশিন হয়ে উঠেছে সেটি নিয়ে সন্দেহের কোন সুযোগ নেই।

অবশ্য শিভাম দুবে কেন ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে খেলছেন সেই উত্তর অজানা। ডানহাতি মিডিয়াম পেসার হিসেবে ভালোই খ্যাতি রয়েছে তাঁর, আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া অঙ্গনে বোলিং সামর্থ্য দেখিয়েছিনও ইতোমধ্যে।

 

তবু অজানা কোন রহস্যে চেন্নাই ম্যানেজম্যান্ট তাঁকে কেবলই একজন ব্যাটার হিসেবে ব্যবহার করে চলছে। ২০২২ আসরে দলটির হয়ে কেবল দুই ওভার বল করেছিলেন তিনি; এরপর আর বোলিং প্রান্তে যাওয়া হয়নি। অথচ জাতীয় দলে খেলার সময় ঠিকই পার্ট টাইমার হিসেবে বল করতে হয় তাঁকে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...