Social Media

Light
Dark

উড়ন্ত চট্টগ্রামকে মাটিতে নামালো কুমিল্লা

উড়তে থাকা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে মাটিতে নামিয়ে আনলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। অবিশ্বাস্য বোলিং নৈপুণ্যে শুভাগত হোমের দলকে স্রেফ লজ্জায় ডুবালো তাঁরা। তানভীর ইসলামের চার উইকেট আর তাওহীদ হৃদয়ের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সাত উইকেটের বড় জয় পেয়েছে লিটন দাসের দল।

আগে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় বলেই আউট হন তানজিদ হাসান তামিম, আরেক ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দো ফেরেন সাত রান করে। তখনি শঙ্কা জেগে উঠেছিল অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার, সেই শঙ্কাকে সত্যি করে তুলতেই একই ওভারে ফিরে যান সৈকত আলী এবং শাহাদাত হোসেন দীপু। ৩৫ রানে চার উইকেট হারিয়ে তখন বিপর্যয়ের মুখে পড়ে টিম চ্যালেঞ্জার্স।

একাকী সৈনিকের মত দলকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেছেন টম ব্রুস। কিন্তু তাঁকে স্থায়ী হতে দেননি তানভীর, ২৭ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তাঁর দল, একের পর এক উইকেট হারিয়ে ৬০ রানের আগে সাতজন ব্যাটারের পতন ঘটে।

শেষপর্যন্ত লোয়ার অর্ডার কোন প্রতিরোধ গড়তে না পারায় ৭২ রানে অলআউট হয়ে যায় বন্দরনগরীর প্রতিনিধিরা। এই আসরে এটিই সর্বনিন্ম রানের রেকর্ড।

অবশ্য সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও লিটন দাস ভাঙ্গতে পারেননি ব্যর্থতার বৃত্ত। আগের ম্যাচের হাফসেঞ্চুরিয়ান মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন আউট হয়েছেন পাঁচ রান করে। তবে কুমিল্লাকে সেভাবে কোন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারেনি আল আমিনরা। মোহাম্মদ রিজওয়ান একপ্রান্ত আগলে রাখায় পরাজয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়নি একবারও।

যদিও তাওহীদ হৃদয় রয়ে সয়ে খেলার দিকে মনোভাব দেননি। উল্টো পাওয়ার হিটিংয়ের পসরা সাজিয়ে দলের জয় ত্বরান্বিত করেছেন তিনি। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে মাত্র ১৩ বলে ৩১ রান করেন এই ডানহাতি, পাঁচ চার আর এক ছয়ে সাজানো এই ইনিংসে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল প্রায় ২৫০!

 

 

শেষপর্যন্ত রায়মন রেইফারকে সঙ্গে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন রিজওয়ান। সাত উইকেট আর দশ ওভারের বেশি হাতে রেখে মাঠ ছাড়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে উঠে আসে দলটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link