যৌন হয়রানির অভিযোগে দীর্ঘদিন কারাবন্দী থাকার পর জামিন চেয়েও জামিন পেলেন না ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার দানি আলভেজ। তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন স্পেনের একটি আদালত।
গত বছরের শেষ দিকে বার্সেলোনার একটি নৈশক্লাবের বাথরুমে ২৩ বছর বয়সী তরুণীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে গ্রেপ্তার করা হয় আলভেজকে।
এরপর থেকেই রয়েছেন কারাগারে। এর মধ্যে আলভেজের আইনজীবীরা তাঁর জন্য দুইবার জামিনের আবেদন করলেও তা নাকচ করে দেয় আদালত।
আদালত ধর্ষণের এই চলমান তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বার্সেলোনার সাবেক এই ফুটবল তারকাকে কারাগারে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, জামিন পেলে পালিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে আলভেজের।
গত মঙ্গলবার কাতালোনিয়ার হাইকোর্টের এক বিচারক এই এক কারণ দেখিয়েই জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘পালিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকায় দানি আলভেজকে জামিন দেওয়া হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে তাতে কড়া সাজা হতে পারে। আর এখন পর্যন্ত সমস্ত প্রমাণও তাঁর বিরুদ্ধেই। এমতাবস্থায় তাঁকে জামিন না দেওয়ার সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। কারণ জামিন দিলে তিনি যে কোনো সময় স্পেন থেকে পালিয়ে যেতে পারেন।’
দানি আলভাজের চলমান মামলায় অবশ্য পাল্টা মত তাঁর আইনজীবীদের। তাদের দা, ‘আলভেজ ও ঐ তরুণীর মধ্যে যৌন সম্পর্ক ছিল। তবে সেটি পারস্পরিক সম্মতিতে। এখানে ধর্ষণের মতো কোনো বিষয়ই ঘটেনি।’
কিন্তু, এমন দাবিও শেষ পর্যন্ত আমলে নেয়নি আদালত। বরং আলভেজের বিরুদ্ধে শক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে তাঁরা তাঁকে আদালতেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আলভেজের পালিয়া যাওয়া ঝুঁকি এড়াতে অবশ্য তাঁর আইনজীবীরা আদালতকে পাসপোর্ট জমা নিতে আশ্বস্ত করেছিল। তবে আদালতের বিশ্বাস, শুধু পাসপোর্ট কেড়ে নিলেও আলভেজকে পালিয়ে যাওয়া থেকে আটকানো যাবে না।
সে যেকোনো মাধ্যম যেমন সমুদ্র, সড়ক পথেও অবৈধ উপায়ে স্পেন ছাড়তে পারে। তাই আলভেজের আইনজীবীদের অনুরোধ শেষ পর্যন্ত প্রত্যাখ্যাতই হয়েছে। ব্রাজিলিয়ান এ ফুটবলারকে থাকতে হচ্ছে আদালতেই।
প্রসঙ্গত, গত ২ জানুয়ারি আলভেজের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা করেন এক নারী। ঐ নারীর অভিযোগ, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর বার্সেলোনার একটি নৈশক্লাবে আলভেজ তাকে যৌন হয়রানি করেন।
তিনি দাবি করেন, তাঁর অনুমতি ছাড়াই আলভেজ তাঁকে স্পর্শ করেছেন। এরপর এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানায় সাক্ষ্য দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন বার্সেলোনার এ কিংবদন্তি ডিফেন্ডার। যদিও শুরু থেকেই এ অভিযোগটি অস্বীকার করে আসছেন ব্রাজিলিয়ান এ ডিফেন্ডার।