টি-টোয়েন্টি মানেই যেন নাটকীয়তা। কখন কি হবে কিছুই বলা যায় না। এই যেমন নামিবিয়া আর ওমানের লো স্কোরিং ম্যাচও গড়লো সুপার ওভারে। যদিও জয়ের হাসিটা হাসে নামিবিয়া। ডেভিড উইজের কল্যাণে দিনশেষে বিজয়ের মুকুট নামিবিয়ার ঘরে ওঠে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখী হয় ওমান এবং নামিবিয়া। টসে জিতে নামিবিয়া ব্যাটিংয়ে পাঠায় ওমানকে। তবে রুবেন ট্রাম্পলম্যানের ভেল্কিতে লন্ডভন্ড হয় ওমানের ব্যাটিং লাইন আপ। মাত্র ১০৯ রানেই গুটিয়ে যায় ওমান। সেখানে উইজ ৩ ওভার ৪ বল হাত ঘুরিয়ে খরচ করেন ২৮ রান আর শিকার করেন ৩ টি উইকেট। তার ইকোনমি রেট ছিল ৭ এর কিছু বেশি।
তবে এই সহজ ম্যাচেও লড়াই করতে হয় নামিবিয়াকে। ওমানের বোলাররা সেই ম্যাচ নিয়ে যায় শেষ ওভার পর্যন্ত। শেষ ওভারে নামিবিয়ার প্রয়োজন ছিল মাত্র ৫ রান আর হাতে ছিল ৬ টি উইকেট। যদিও ডেভিড উইজ তখনও ছিলেন ২২ গজে। তবে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান ওমানের বোলার মেহরান খান। সেই ওভারে তিনি খরচ করেন মাত্র ৪ রান আর তুলে নেন দুই উইকেট।
ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। এবার প্রথমে ব্যাটিং নামে উইজ এবং নামিবিয়ার দলপতি গেরার্ড ইরাসমাস। দুজনে মিলে সেই এক ওভারে সংগ্রহ করেন ২১ রান। যেখানে ছিল ৩ টি চার এবং একটি ছক্কার মার।
তবে সুপার ওভারে তেমন সুবিধাই করতে পারেননি ওমান। কেননা সেখানেও হানা দেন উইজ। বল হাতে সুপার ওভারে তিনি খরচ করেন মাত্র ১০ রান আর তুলে নেন এক উইকেট। আর তাতেই ১১ রানের জয় সুনিশ্চিত হয় নামিবিয়ার।
টি-টোয়েন্টি শুধুই চার-ছক্কা আর উইকেটের খেলা নয়। বরং এই ফরম্যাটে খেলোয়াড়দের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয় স্নায়ুচাপ। আর সে দক্ষতা বেশ ভালভাবেই দেখালেন ডেভিড উইজ। এক্ষেত্রে বিশ্ব জুড়ে ফ্রাঞ্চাইজি লিগে খেলার অভিজ্ঞতা বেশ কাজে দিয়েছে সাবেক এই দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডারের।
এটি এই আসরের প্রথম সুপারে ওভারে গড়ানো ম্যাচ। অপ্রত্যাশিত, তবে রোমাঞ্চকরই ছিল সেই ম্যাচ। তাই বোঝাই যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে অপেক্ষা করছে অসংখ্য চমক।