সব হারিয়ে নিঃস্ব ঢাকা

তীরের কাছাকাছি এসেও তরি ভেড়াতে পারেনি তাসকিনের দল; থেমেছে ১৪৯ রানেই। এর ফলে টানা এগারো ম্যাচে পরাজয়ের রেকর্ড গড়লো তাঁরা।

জয় দিয়ে বিপিএল শুরু করলেও এরপর থেকে কেবলই হেরে চলেছিল দুর্দান্ত ঢাকা। লজ্জাজনক এই পরাজয়ের দৌড় অবশেষে শেষ হলো তাঁদের। টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে হেরে বাড়ি ফিরেছে দলটি, এর মধ্য দিয়েই আসলে পরাজয়ের ধারা থেমেছে। সাগরিকায় এদিন তানজিদ তামিমের দারুণ হাফসেঞ্চুরির কল্যাণে ১০ রানে জিতেছে স্বাগতিকরা।

আগে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রামকে প্রথম বলেই ব্যাকফুটে পাঠান মোসাদ্দেক হোসেন, আউট করেন সৈকত আলীকে। তিন নম্বরে আসা জস ব্রাউনও টিকতে পারেননি তাসকিনের বিপক্ষে। ২৪ রানে দুই উইকেট হারানো দলটা অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায় তানজিদ তামিম ও টম ব্রুসের জুটিতে। এই দু’জনে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৯৫ রান, তাতেই চালকের আসনে ফেরে স্বাগতিকরা।

হাফসেঞ্চুরি থেকে দুই রান দূরে থাকতে ব্রুসকে আউট করে ব্রেক থ্রু এনে দেন শন উইলিয়ামস। তবে অবিচল ছিলেন তানজিদ, প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৫১ বলে ৭০ রান করেন তিনি। লোয়ার মিডল অর্ডারে অবশ্য কেউই তেমন কিছু করতে পারেননি, আগের ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করা রোমারিও শেফার্ড ব্যর্থ হয়েছেন শোচনীয়ভাবেই।

শেষপর্যন্ত তাই ১৫৯ রান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় শুভাগত হোমদের। অথচ একটা সময় মনে হয়েছিল ১৮০ রানের বেশি করতে পারবে তাঁরা।

রান তাড়ায় শুরুতেই প্রতিপক্ষ অধিনায়কের তোপের মুখে পড়ে ঢাকা। এক ওভারেই অ্যাডাম রসিংটন ও সাব্বির হোসেনকে শিকার করেন এই অফ স্পিনার। প্রাথমিক বিপর্যয় সামলে নেন নাইম শেখ, অ্যালেক্স রসকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ৫১ রানের জুটি।

২৯ রান করে নাইম আউট হলে ভাঙ্গে এই জুটি, অবশ্য অন্য অনেক দিনের মতই রস টেনে নিয়ে যান দলের তরী। তাঁর অনবদ্য হাফসেঞ্চুরিতে জয়ের আশা টিকে ছিল তাঁদের। তবে প্রতি বলেই জয়ের সমীকরণ কঠিন হয়ে যাচ্ছিলো, সেটার সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারেননি মোসাদ্দেক, ইরফান শুক্কুররা।

ফলে তীরের কাছাকাছি এসেও তরি ভেড়াতে পারেনি তাসকিনের দল; থেমেছে ১৪৯ রানেই। এর ফলে টানা এগারো ম্যাচে পরাজয়ের রেকর্ড গড়লো তাঁরা, এমন রেকর্ড বিপিএলের ইতিহাসে আর কোন ফ্রাঞ্চাইজিরই নেই।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...