বেশ চমকপ্রদ ও খুবই অদ্ভুত একটা ব্যাপার। দিপক হুডার নামের আগে এবার ‘লাকি চার্ম’ তকমা জুড়ে দেওয়া সময়ের দাবি। কারণ তিনি দলে থাকলেই ভারত জিতেছে। তিনি খেলেছেন, অথচ ভারত জেতেনি – এমন ম্যাচের অস্তিত্ব আজ অবধি খুঁজে পাওয়া যাবে না।
পরিসংখ্যান বলে দীপক যখনই ভারতীয় দলের অংশ হয়ে মাঠে নামেন, তখনই ভারতীয় দলে ‘অপরাজেয়’ শক্তি ভর করে। ভারতীয় দলে তাঁর অভিষেক ঘটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির ছয় তারিখে। সেই থেকে এই অবধি দিপক হুডা ভারতের হয়ে মোট যতটি ম্যাচ খেলেছেন, সবগুলোতেই ভারত জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে।
গেল শনিবার হারারেতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারত স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে। যার মাধ্যমে দীপক একটি অনন্য বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। দিপক হুডা এখন পর্যন্ত ভারতের হয়ে টানা ১৬ টি জয়ের অংশ হয়েছেন, যা অভিষেকের পর কোনো খেলোয়াড়ের জন্য দীর্ঘতম সময় ‘অপরাজিত’ থাকার রেকর্ড। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার পর থেকে ভারত সাতটি ওয়ানডে এবং নয়টি টি–টোয়েন্টিতে জয়লাভ করেছে।
দিপকের পর জয়ের এমন ধারার রেকর্ডটি দখল করে আছেন রোমানিয়ান ক্রিকেটার সাদ্ভিক নাদিগোটলা। অভিষেকের পর থেকে ১৫ টি ম্যাচে জয়ের রেকর্ডটি ধরে রেখেছেন তিনি। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ডেভিড মিলার এবং রোমানিয়ার শান্তনু ব্যাশিষ্ট তাদের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার পর থেকে ১৩ টি ম্যাচে দলের জয়ের ধারা ধরে রাখতে পেরেছিলেন।
দিপক হুডা ভারতের হয়ে সাতটি ওয়ানডেতে অংশ নিয়ে পাঁচ ইনিংস ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে মোট ১৪০ রান করেছেন। আর নয়টি টি-টোয়েন্টি তে অংশগ্রহণ করে এর মধ্যে সাতটিতে ব্যাট হাঁতে সুযোগ পেয়েছিলেন। টি- টোয়েন্টি তে ৫৪.৮০ গড়ে তিনি মোট ২৭৪ রান করেছেন। বল হাতে সাত ওয়ানডেতে তিনটি উইকেটও পেয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেটিতে হারারে স্পোর্টস ক্লাবে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। ৩৮.১ ওভারে ১৬১ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। বোলারদের মধ্যে শার্দুল ঠাকুর তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এরা বাদে হুডা, মোহাম্মদ সিরাজ, প্রসিধ কৃষ্ণা, অক্ষর প্যাটেল এবং কুলদীপ যাদব প্রত্যেকেই একটি করে উইকেট তুলে নিয়েছিলেন।
ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতের ওপেনার কেএল রাহুল পাঁচ বলে এক রান করে সাঁজঘরে ফিরে যান। আরেক ওপেনার শিখর ধাওয়ান ২১ বলে ৩৩ রান করেন। শুভমান গিলের ৩৪ বলে ৩৩, সঞ্জু স্যামসনের ৩৯ বলে ৪৩ রান এবং দীপক হুডার ৩৬ বলে ২৫ রানের বদৌলতে ভারত ২৫.৪ ওভারেই জয় তুলে নেয়। শুরুতে টপ অর্ডার একটু এলোমেলো ব্যাটিং করলেও ভারতের বেশ অনায়াসেই এই জয় পেয়ে যায়।