চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে জয়টি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর খেলোয়াড়রা জয়ের উদযাপনে ভুলেই গিয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনির সম্ভাব্য বিদায়ের কথা। ম্যাচ শেষে বেশ অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর করমর্দন না করেই চেন্নাই শিবিরে ফেরত যান ধোনি।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ২৭ রানের জয় পায় চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে। হারলেই বাদ, তাই তো জেতার আনন্দটাও বিশাল। প্লে অফ নিশ্চিত করতে শেষ ৫ বলে চেন্নাইয়ের প্রয়োজন ছিল ১১ রানের।
ইয়াশ দয়ালের অবিশ্বাস্য সেই ওভারের ফলে জয় ছিনিয়ে আনে ব্যাঙ্গালুরু। আর তাতেই বাঁধ ভাঙ্গা উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো চেন্নাস্বামী স্টেডিয়াম। সেই সাথে ব্যাঙ্গালুরুর খেলোয়াড়েরাও। তবে ব্যাঙ্গালুরু উদযাপন করতে গিয়ে ভুলে যান, এই ম্যাচই হতে পারে ভারতের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির শেষ আইপিএল ম্যাচ।
ক্রিকেট ভদ্র মানুষের খেলা। তাই সৌজন্যতা হিসেবে করমর্দন করার জন্য ধোনি বেশ অনেকক্ষণ সীমানার বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেন ব্যাঙ্গালুরুর খেলোয়াড়দের জন্য। তবে অনেকটা আক্ষেপ নিয়ে শুধু চেন্নাইয়ের স্টাফ, কোচদের সাথে করমর্দন করে মাঠ ত্যাগ করেন ৪২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
আর এই ঘটনাতেই চটেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার মাইকেল ভন। তাঁর মতে এটি ব্যাঙ্গালুরুর খেলোয়াড়দের অশালীন আচরণ ছাড়া কিছুই না। তিনি বলেন, ‘তাঁদের মাঝে সচেতনতা বলে কিছু ছিল কি না সন্দেহ। যদি তাঁরা বুঝতে এই ম্যাচই ধোনির সম্ভাব্য শেষ ম্যাচ, তবে তাঁরা সবাই একসাথে জড়ো হয়ে এই জীবন্ত কিংবদন্তীকে সম্মান জানাতো। তাছাড়া আমি সেই ব্যাঙ্গালুরুর খেলোয়াড় হয়ে ঘুম থেকে উঠতে চাই না। যে কিনা জয়ের উদযাপনে ধোনির সম্ভাব্য বিদায়ে তাঁর (ধোনি) সাথে করমর্দন করতে ভুলে গিয়েছে।’
যদিও ধোনি তাঁর বিদায় সম্পর্কে এখনও কিছু খোলাসা করেননি। তিনি চেন্নাইয়ে ফাইনাল ম্যাচের মধ্য দিয়ে আইপিএলের ইতি টানবেন, এমনটাই প্রত্যাশা ছিল সবার। তবে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ব্যাঙ্গালুরু বিপক্ষে হারের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ধোনির ষষ্ঠ শিরোপার স্বপ্ন। আর বিষাদে পূর্ণ হয় তাঁর সম্ভাব্য বিদায়।