বাইশ গজের ক্রিকেটে ডানা মেলতে শুরু করেছিলেন আগেই। যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের সবচেয়ে প্রতিভাবানদের একজন ছিলেন শাহাদাত হোসেন দীপু। তবে তাঁর সতীর্থদের অনেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে ফেললেও দীপু এগিয়েছেন কিছুটা ধীরলয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখতে সময় নিয়েছেন। তবে সময়ের স্রোতেই যেন পরিণত হতে শুরু করেছেন তিনি।
এমনিতে ব্যাটিং টেকনিকের সুখ্যাতি আছে দীপুর। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আর ওসবের বালাই আছে! ২০ ওভারের ক্রিকেট ক্যারিয়ার জুড়ে দুঃস্মৃতি সঙ্গী ছিল দীপুর। ৮ ম্যাচে মোটে ৬৭ রান। নেই কোনো ফিফটি। স্ট্রাইকরেটও ১০০ এর নিচে। কিন্তু সেই দীপুই কিনা বিপিএল অভিষেকেই হয়ে উঠলেন ম্যাচের নায়ক। অপরাজিত ৫৭ রানের ইনিংস খেলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জয়ের পথে হয়ে উঠেছিলেন ত্রাতা।
অথচ শুরুতে ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল চট্টলার দলটাই। কিন্তু নাজিবুল্লাহ জদরানকে নিয়ে জয়ের পথে দেখিয়েছেন দীপুই। আফগান নাজিবুল্লাহ জদরানের সাথে গড়া নিরবচ্ছিন্ন ১২১ রানের জুটিটাই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে। তবে চ্যালেঞ্জার্সদের জন্য চ্যালেঞ্জটা মোটেই সহজ ছিল না।
দীপু যখন উইকেটে আসেন তখন দলে জয়ের জন্য রিকুয়ার্ড রানরেট প্রায় ৯ ছুইছুই। দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পরিস্থিতিতে তরুণ এ ব্যাটারের সামনে তখন নেমে এসেছিল স্নায়ুর সাথে লড়াই। তবে শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যান এ ব্যাটার। সাথে দলকেও এগিয়ে নিয়ে যান জয়ের দুয়ারে। শুরুটা করেছিলেন মাশরাফির বলে চার হাঁকিয়ে।
এরপর টেক্টর থেকে শুরু করে বেনি হাওয়েল, কেউ দীপুর ব্যাটের সামনে পাত্তা পায়নি। ৩৫ বলে পৌঁছে যান ব্যক্তিগত অর্ধশতকে। বিপিএল তো বটেই, টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারেই যেটি শাহাদাৎ হোসেন দীপুর প্রথম হাফসেঞ্চুরি। আর হাফসেঞ্চুরি এমন মোক্ষম দিনেই আসলো, যেদিন তাঁর ব্যাটেই পথ হারিয়ে ফেলা চট্টগ্রাম জয়ের পথ খুঁজে পেয়েছে।
সর্বশেষ আসরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকেই শেষ করেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এবার আসরের শুরুটাই হলো জয় দিয়ে। দলের এমন শুরুতে দারুণ অবদান রাখা দীপুও নিশ্চয়ই দীপ্তি ছড়াতে চাইবেন পুরো আসর জুড়ে।