বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ব্যাটসম্যান অ্যাশওয়েল প্রিন্স। ব্যাটিং কোচের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আরো কয়েকজন থাকলেও শেষ পর্যন্ত নিয়োগ পেয়েছেন এই প্রোটিয়া। প্রিন্সের অন্তর্ভুক্তিতে মূলত ভূমিকা রেখেছে জাতীয় দলের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো।
তবে এই প্রোটিয়াকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে শুধু জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্যই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান আজ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন জিম্বাবুয়ে সিরিজে সে ভালো করলে তাঁর সাথে চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে পারে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
তিনি বলেন, ‘ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স দক্ষিণ আফ্রিকান। খেলোয়াড় হিসেবে তার সুনাম আছে। কোচের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে আমরা তাকে নিয়েছি। কোচ ওকে খুবই হাইলি র্যাঙ্ক করেছে। তাকে আমরা শুধু এই সিরিজের জন্য নিয়েছি। তারপর আমরা এই সিরিজে দেখে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করব।’
স্পিন বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরি দায়িত্ব ছাড়ার পর স্পিন বোলিং কোচ হিসাবে অনেক দিন হলোই আলোচনায় ছিলেন শ্রীলঙ্কার সাবেক কিংবদন্তি স্পিনার রঙ্গনা হেরাথ। কিন্তু পারিশ্রমিক নিয়ে বোর্ডের সাথে মতের মিল হচ্ছিলো না তার। তবে শেষ পর্যন্ত নিয়োগ পেয়েছেন তিনিই।
তবে তার পারিশ্রমিক কি ভাবে দেওয়া হবে ও কত দেওয়া হবে সেই বিষয়ে চূড়ান্ত কিছু জানা যায়নি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাকে। আকরাম খান জানিয়েছেন ক্রিকেটাররা তাকে পছন্দ করলে বিশ্বকাপের পরে চুক্তি বাড়তেও পারে।
আকরাম খান বলেন, ‘ওকে যদি পছন্দ করে খেলোয়াড়রা, সঙ্গে ও যদি ভালো করে তাহলে হয়তো আমরা চিন্তা-ভাবনা করব, বিশ্বকাপের পরে। তবে এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত ওকে আমরা চুক্তিতে নিয়ে এসেছি।’
৪৪ বছর বয়সী প্রিন্স দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৬৬ টি টেস্ট, ৫২টি ওয়ানডে ও ১ টি মাত্র টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। ৬৬ টেস্টে ৪৩.৭১ গড়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৬৬৫ রান। ৫২ ওয়ানডেতে ৩৫.১ গড়ে তিনি করেছেন ১০১৮ রান ও ১ টি টি-টোয়েন্টিতে তার সংগ্রহ ছিল ৫ রান।
টেস্টে ১১ টি সেঞ্চুরির সাথে সমান সংখ্যাক হাফসেঞ্চুরি রয়েছে তার। ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি না থাকলেও ৩ টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তার। ২০১১ সালে ক্রিকেট ছাড়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন বয়স ভিত্তিক দলে কোচিং করিয়েছেন প্রিন্স।
আর হেরাথের কোচিং ক্যারিয়ার বড় না হলেও সমৃদ্ধ ছিল তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। শ্রীলঙ্কার হয়ে মাত্র ৯৩ টেস্টে ৪৩৩ উইকেট শিকার করেছেন এই স্পিনার। এছাড়া ৭১ ওয়ানডেতে ৭৪ উইকেট রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। আর ১৭ টি-টোয়েন্টিতে তিনি শিকার করেছেন ১৮ উইকেট।