আবার ভারতের জয়ের নায়ক দুবে

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স দিয়ে দলকে জিতিয়েছিলেন শিভাম দুবে, ধারাবাহিকতা ধরে রেখে দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়ে অবদান রাখলেন তিনি।

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স দিয়ে দলকে জিতিয়েছিলেন শিভাম দুবে, ধারাবাহিকতা ধরে রেখে দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়ে অবদান রাখলেন তিনি। তাঁর ৩১ বলে ৬৩ রানে ভর করে ছয় উইকেটের জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। হার্দিক পান্ডিয়ার অনুপস্থিতিতে দলে যে পেস বোলিং অলরাউন্ডারের শূণ্যতা সৃষ্টি হয়েছিল সেটিই পূরণ করেছেন দুবে।

আগে ব্যাট করতে নেমে রহমানুল্লাহ গুরবাজ আর ইব্রাহিম জাদরান শুরু থেকেই আগ্রাসী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেন অক্ষর প্যাটেল ও রবি বিষ্ণয়। দুই ওপেনারের পর আজমতউল্লাহ ওমরজাইও প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন দ্রুতই। তবে তিন নম্বরে নামা গুলবাদিন নাইব ছিলেন ব্যতিক্রম, দলের হাল ধরেছিলেন তিনি।

আউট হওয়ার আগে ৩৫ বলে ৫৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। এরপর আর কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি; তবে ছোট ছোট অবদান রেখেছেন মোহাম্মদ নবী, নাজিবুল্লাহ জাদরানরা। দলীয় ১৩৪ রানে নাজিবুল্লাহ ফিরলে বড় স্কোরের স্বপ্ন ম্লান হয়ে যায় আফগানিস্তানের।

তবে করিম জানাত এবং মুজিবুর রহমানের ক্যামিও বদল আনে দৃশ্যপটে। দুজনে প্রায় ২০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন, এর ফলে সফরকারীদের পুঁজি হয়েছে ১৭২ রান।

চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েও ভারতকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেনি মুজিবরা। প্রথম ওভারে রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ফজল হক ফারুকী কিন্তু বিরাট কোহলি আর যশস্বী জয়সওয়ালের তান্ডবে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে তাঁর দল। এই দুই ব্যাটার পাঁচ ওভারেই তোলেন ৫৭ রান, এরপর কোহলি আউট হলে আশার সঞ্চার হয়েছিল খানিকটা।

কিন্তু ইনফর্ম শিভম দুবে কোন সুযোগ দেননি প্রতিপক্ষকে, জসওয়ালের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রান করেছেন ঝড়ো গতিতে। এরই মাঝে ফিফটি পূর্ণ করেন তরুণ এই ওপেনার। আউট হওয়ার আগে ৩৪ বলে ৬৮ রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে, আর এটির কল্যাণে ভারতের জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়।

বাকি আনুষ্ঠানিকতা সেরে মাঠ ছাড়েন দুবে। রিঙ্কু সিংয়ের সঙ্গে ১৭ রানের জুটি গড়ে দলের তরী বন্দরে পৌঁছে দেন তিনি। এরই সাথে সিরিজ নিজেদের করে নেয় রোহিতের দল।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...