ক্যারিয়ারটা প্রায় শেষই হতে বসেছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। টানা তিন সিরিজে ছিলেন দলের বাইরে। স্রেফ ভাগ্যের বদৌলতে ডাক পেলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। তবে, হতে পারে এটাই তাঁর শেষ সুযোগ, কিংবা শেষ আন্তর্জাতিক সিরিজ।
নিউজিল্যান্ড সিরিজে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোনো কমতি নেই। এক গাদা শীর্ষ ক্রিকেটার আছেন দলে। একাদশেও তাঁর প্রভাব স্পষ্ট। সেই সুবাদেই দলে আসা রিয়াদ কিংবা সৌম্য সরকারের।
কিন্তু, বয়স বিবেচনা করলে এটাকেই রিয়াদের শেষ সুযোগ বলা যায়। রিয়াদ এমনিতেই আর জাতীয় দলের পরিকল্পনায় নেই। এই সিরিজে অভাবনীয় কিছু করতে না পারলে বিশ্বকাপ দলে তাঁর না থাকাটা অবধারিতই।
মিডল অর্ডার এই ব্যাটারের কাছ থেকে মূলত শেষের দিকে ইমপ্যাক্টফুল ইনিংসেরই প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ দল। সেই চাহিদা মাফিক ক্রিকেট খেলতে না পারলে জাতীয় দলের পরিকল্পনা থেকে স্থায়ীভাবে বাদ পড়তে পারেন তিনি।
রিয়াদের বয়স এখন প্রায় ৩৮। তাঁর ব্যাটিং রিফ্লেক্স নষ্ট হয়ে গেছে, হ্যান্ড আই কম্বিনেশন নেই বললেই চলে। স্ট্রাইক রোটেট করতে পারেন না ঠিক মত। এমনকি এমন ম্যাচ খুঁজে পাওয়া কঠিন, যেখানে রিয়াদ ফিল্ডিংয়ে বড় কোনো ভুল করছেন না। ফিল্ডিংয়ে তাঁকে লুকিয়ে রাখতে হয়।
আর এবারের বিশ্বকাপ শেষেই বাংলাদেশ দল ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরিকল্পনা শুরু করবে। সেই পরিকল্পনায় রিয়াদের থাকার কোনো কারণ নেই। ফলে, কার্যত ক্যারিয়ারের শেষটা দেখে ফেলতে শুরু করেছেন রিয়াদ।