৩-৩ ব্যবধানে সমতা, শেষ ম্যাচটা তাই ছিল অঘোষিত ফাইনাল। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক পাকিস্তানের পাল্লাটাই ছিল ভারি। কিন্তু, শেষ ম্যাচে লড়াইটাও করতে পারল না পাকিস্তান। হারল ৬৭ রানের বিশাল ব্যবধানে। সাত ম্যাচের সিরিজে ইংল্যান্ড জিতল ৪-৩ ব্যবধানে। ১৭ বছর পর পাকিস্তানে গিয়েই সিরিজ জিতে নিল ইংল্যান্ড দল।
এই রাতে ইংল্যান্ড রীতিমত রান উৎসবই করে। নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে করে ২০৯ রান। ধন্যবাদ দিতে হয় ডেভিড মালান ও হ্যারি ব্রুককে। মালান ৪৭ বলে ৭৮ আর ব্রুক ২৯ বলে ৪৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
এই মাঠে পাকিস্তান আগে কখনোই ২০০’র ওপর রান করেনি টি-টোয়েন্টিতে। ২০১৭ সালে সর্বোচ্চ রান করেছিল ১৯৭, পাঁচ উইকেট হারিয়ে।
এর চেয়েও বড় ব্যাপার হল, টি-টোয়েন্টিতেই এত রান তাঁড়া করে কখনও জিতেনি পাকিস্তান। সর্বোচ্চ তাঁরা ২০৮ রান তাড়া করে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ফলে ইতিহাস, পরিসংখ্যান – সব পাকিস্তানের বিপক্ষেই ছিল।
জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে – এমন চ্যালেঞ্জের সামনে রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের বিখ্যাত ওপেনিং জুটি ভেঙে পড়ে হুড়মুড় করে। মোহাম্মদ রিজওয়ান ৪ আর বাবর আজম মোটে ১ রান করেন। মাত্র পাঁচ রানে দুই ওপেনারকে হারায় তাঁরা।
শান মাসুদ ৪৩ বলে ৫৬ রানে একটা ইনিংস খেলেছেন বটে, তাতে দলের ভাগ্য পাল্টায়নি। অন্যদিকে খুশদিল শাহ’র ২৫ বলে ২৭ রানের ইনিংস দলের ওপর চাপ বাড়ায়। আর শেষের দিকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। ফলে, আর শেষ রক্ষা হয়নি। বরং ইংল্যান্ডের বোলাররা ভালই চেপে ধরেছিল পাকিস্তানকে। একাদশে জায়গা ফিরে পেয়েই তিন উইকেট নেন ইংলিশ পেসার ক্রিস ওকস।
পাকিস্তান দলের গন্তব্য এবার নিউজিল্যান্ড। সেখানে স্বাগতিক দলের সাথে আরো অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ দল। আসছে সাত অক্টোবর থেকে শুরু হবে তিন দলের মধ্যকার ত্রিদেশিয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ।