সালাহর অতিমানবীয় ধারাবাহিকতা তবু লিভারপুলের হোঁচট

অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে এই তারকাই স্কোরবোর্ডে প্রথম নাম লিখিয়েছিলেন, দিয়েগো জোতার পাস থেকে সহজতম একটা গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। চলতি প্রিমিয়ার লিগে এটি তাঁর ২৪তম গোল, গোলদাতার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্লিং হাল্যান্ডের সঙ্গে তাঁর পার্থক্য এখন পাঁচ গোলের। 

মোহামেদ সালাহ কি আদৌ মানুষ নাকি রোবট? নেট দুনিয়ার মত বাস্তবেও বোধহয় ক্যাপচা টেস্ট থাকা দরকার, পরীক্ষা করা দরকার সালাহকে। একটা মানুষের পক্ষে কি করে এতটা ধারাবাহিক হওয়া সম্ভব, কি করে সম্ভব ম্যাচের পর ম্যাচ গোল আর অ্যাসিস্ট করে যাওয়া। ক্লান্তিহীন কোন পথিকের মতই সালাহ লাগাতার গোল করে যাচ্ছেন।

অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে এই তারকাই স্কোরবোর্ডে প্রথম নাম লিখিয়েছিলেন, দিয়েগো জোতার পাস থেকে সহজতম একটা গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। চলতি প্রিমিয়ার লিগে এটি তাঁর ২৪তম গোল, গোলদাতার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্লিং হাল্যান্ডের সঙ্গে তাঁর পার্থক্য এখন পাঁচ গোলের।

এরপর আবার অ্যাসিস্ট করেছেন মিশরীয় ফরোয়ার্ড, ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ডকে গোল করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন দারুণ একটা পাসে। এ নিয়ে পনেরো অ্যাসিস্টের মালিক বনে গেলেন তিনি। এর আগে কখনোই লিগের এক আসরে এত অ্যাসিস্ট যোগ হয়নি তাঁর ঝুলিতে। অবশ্য এখনো লিগ শেষ হতে অনেক দেরি, সংখ্যা নিশ্চয়ই আরো বড় করতে চাইবেন তিনি।

পোস্টার বয়ের দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স সত্ত্বেও লিভারপুল কিন্তু জিততে পারেনি। অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে শুরুতে এগিয়ে গিয়েও শেষপর্যন্ত ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তাঁরা। আর্নল্ড গোল না করলে তো কোন পয়েন্ট ছাড়াই ফিরতে হতো।

অবশ্য লিভারপুল চাইলে ডারউইন নুনেজকে দায়ী ভাবতে পারে, প্রায় খালি পোস্ট পেয়েও গোল করতে পারেননি তিনি। শট নিয়ে গোলবারের বাইরে, তা নাহলে আর্সেনালের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধানে বেড়ে ১০ হয়ে যেতো।

সত্যি বলতে অ্যাস্টন ভিলার গতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি অলরেডরা, প্রথম গোল হজমের পর যেভাবে উনাই এমেরির শিষ্যরা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে সেটা অনেকটা ভড়কে দিয়েছিল তাঁদের। অ্যালিসনের বাঁধা না থাকলে জয় পেয়ে যেতো স্বাগতিক দলটা।

তাতেই শিরোপার দৌড়ে আর্সেনালের স্বপ্ন কিছুটা বড় হলো, নিজেদের পরের ম্যাচে ওয়েস্ট হ্যামকে হারাতে পারলে ব্যবধান কমে পাঁচে নেমে আসবে।

Share via
Copy link