পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে সাদা পোশাকে ইতি টানছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। আর তাঁকে কেন ঘটা করে বিদায়ের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, সেটি নিয়ে খেপে যান তাঁরই এক সময়ের সতীর্থ মিশেল জনসন। এরপর থেকেই চারদিক থেকে ছুটে আসছে নানান প্রশ্ন। হঠাত ওয়ার্নারের প্রতি এত কেন ক্ষোভ জনসনের?
অবশেষে সেই প্রশ্নের উত্তর মিলল। আর সেটি জানালেন জনসন নিজেই। ‘দ্য মিশেল জনসন ক্রিকেট শো’ পডকাস্টে জানালেন ওয়ার্নারের সাথে তাঁর সম্পর্কের দূরত্বের গল্প। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, গত এপ্রিলে ওয়ার্নারের কাছ থেকে পাওয়া একটি খুদে বার্তা বা এসএমএসই নিয়েই বিরোধের শুরু।
মূলত, সে সময় ওয়ার্নারের ফর্ম নিয়ে কথা বলেছিলেন জনসন। ওয়ার্নারের স্ত্রী ক্যান্ডিস কেন ওয়ার্নারের টেস্ট দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে টেলিভিশনে কথা বলেছেন, সেটিরও সমালোচনা করেন সাবেক অজি এ পেসার। আর এরপর থেকেই এ দুই ক্রিকেটারের মাঝে দূরত্ব তৈরি হয়।
ওয়ার্নারের কাছ থেকে পাওয়া সেই টেক্সটের ব্যাপারে জনসন আরো বলেন, ‘ওয়ার্নারের কাছে যে টেক্সট পেয়েছিলাম, তাতে খুবই ব্যক্তিগত আক্রমণ পূর্ণ ছিল। আমি তখন ওকে ফোনে ধরার চেষ্টা করলাম, চেষ্টা করলাম কথা বলতে। আমি সব সময়ই যেকোনো কিছু নিয়ে কথা বলতে রাজি আছি। খেলা ছাড়ার পরও সবার সঙ্গে সব সময়ই কথা বলেছি। আমি বলেছি, সংবাদমাধ্যমে আমার লেখা ও কথা যদি কারও ভালো না লাগে, আমার সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে।’
জনসন আরও বলেন, ‘ব্যাপারটা আর কোনোভাবেই ব্যক্তিগত বিষয় ছিল না। সম্ভবত এটিই আমাকে কলাম লিখতে প্ররোচিত করেছিল। অবশ্যই এটা বড় একটা কারণ ছিল। আমি মনে করি এটা ওয়ার্নারের ওপর নির্ভর করে, যদি তিনি এটা নিয়ে কথা বলতে চান। বার্তাটিতে এমন কিছু বিষয় ছিল, যা অত্যন্ত হতাশাজনক। সত্যি বলতে সে বার্তাটিতে যা বলেছিল, তা খুবই খারাপ।’
২০১৮ সালে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে বল টেম্পারিংয়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফট। যা স্যান্ডপেপারগেট কেলেঙ্কারি নামে পরিচিত। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিষিদ্ধ হন স্মিথ, ওয়ার্নার ও ব্যানক্রফট।
আর এই কেলেঙ্কারির কথা উল্লেখ করেই ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকায় নিজের লেখা এক কলামে ওয়ার্নারকে কেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে ঘটা করে বিদায় দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলো, তা নিয়ে সমালোচনা করেন জনসন। আর সেটার মধ্য দিয়েই নতুন করে সামনে এসেছে তাঁদের মধ্যকার টানাপোড়েন।