ভারতীয় গতিদানব সমগ্র

মায়াঙ্ক যাদবের সাম্প্রতিক সাফল্যের কারণে ভারতীয় বোলাররা কে কত জোরে বোলিং করেন সেটি নিয়ে আগ্রহ বেড়েছে ভক্ত-সমর্থকদের। 

অবিশ্বাস্য গতি আর ধারাবাহিকতা দেখিয়ে ইতোমধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন মায়াঙ্ক যাদব। লখনৌ সুপার জায়ান্টসের হয়ে চলতি আসরে আইপিএল অভিষেক হয়েছিল তাঁর, অভিষেকেই পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে গতির ঝড় তুলেছেন তিনি। পরের ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুও তাঁকে পাল্টা জবাব দিতে পারেনি – দুই ম্যাচেই ম্যাচ সেরা হয়েছেন এই পেসার।

ঘন্টায় ১৫০ কিলোমিটার আশেপাশে একের পর এক বল করেই সাফল্যের দেখা পাচ্ছেন তিনি। তাই তো ভারতীয় বোলাররা কে কত জোরে বোলিং করেন সেটি নিয়ে আগ্রহ বেড়েছে ভক্ত-সমর্থকদের।

সবচেয়ে জোরে বল করার রেকর্ড রয়েছে উমরান মালিকের ঝুলিতে। ২০২২ সালে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ হঠাৎ করেই সুযোগ দিয়েছিল তাঁকে। মাঠে নেমেই সবাইকে চমকে দিয়েছেন তিনি। সেবার দিল্লী ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ১৫৭ কি.মি./ঘন্টায় একটি ডেলিভারি করেছিলেন এই ডান-হাতি। এখন পর্যন্ত ভারতীয় পেসারদের মাঝে সবচেয়ে গতির বল এটিই।

উমরানের পরেই আছেন তরুণ সেনসেশন মায়াঙ্ক। ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে ১৫৬.৭ কিমি/ঘন্টায় বল করেছিলেন তিনি। সর্বোচ্চ গতির ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকলেও একটানা জোরে বল করার সামর্থ্যের দিক দিয়ে অনন্য এ উদীয়মান তারকা। তাছাড়া গতির সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত লাইনলেন্থের অপূর্ব মিশেল ঘটিয়েছেন তিনি।

এই তালিকায় থাকা পরের তিনজন অবশ্য গতির তুলেছেন আকাশী-নীল জার্সিতে। ২০০৭ সালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে ইরফান পাঠান ঘন্টায় ১৫৩.৭ কিমি গতিতে বোলিং করেছিলেন; আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটিই ভারতীয়দের সর্বোচ্চ গতির মাইল ফলক।

ইরফানের কাছাকাছি আসতে পেরেছেন বর্তমানের দুই তারকা পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ এবং মোহাম্মদ শামি। ২০১৪ সালে শামি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্পিডোমিটারে ১৫৩.৩ কিমি পর্যন্ত যেতে পেরেছিলেন। একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে চার বছর পর বুমরাহ ছুঁয়েছিলেন ১৫৩.২ কি.মি.।

সত্যি বলতে, এক্সপ্রেস পেসারের অভাব সব সময়ই ছিল ভারতের। এখনো জাতীয় দলে সে রকম কেউ নেই তাঁদের; তবে উমরান মালিক, মায়াঙ্ক যাদবদের আবির্ভাব কিছুটা হলেও তৃপ্ত করবে টিম ম্যানেজম্যান্টকে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...