শততম টেস্টে রানের চূড়া

ক্রিকেটের আসল সৌন্দর্য এখনও ধারণ করে টেস্ট ক্রিকেট। সাদা পোশাকের লাল বলের খেলাটায় ক্রিকেটটা ঠিক উপভোগ করা। মিশে যাওয়া যায় ক্রিকেটের সাথে। মাঠের ধূলিকণা আর তপ্ত রৌদের গা দিয়ে গড়িয়ে পড়া ঘাম মিশে একাকার হয়। সেই সাথে হয় ধৈর্য্যের চরম পরীক্ষা। আর স্কিল ছাড়া টেস্ট ক্রিকেটে টিকে থাকা বেজায় দুরূহ এক কাজ। সবকিছু মিলিয়ে মাঠের সেই বাইশগজের আঁকড়ে থাকাটাই তো স্বার্থকতা।

ক্রিকেটের আসল সৌন্দর্য এখনও ধারণ করে টেস্ট ক্রিকেট। সাদা পোশাকের লাল বলের খেলাটায় ক্রিকেটটা ঠিক উপভোগ করা। মিশে যাওয়া যায় ক্রিকেটের সাথে। মাঠের ধূলিকণা আর তপ্ত রৌদের গা দিয়ে গড়িয়ে পড়া ঘাম মিশে একাকার হয়। সেই সাথে হয় ধৈর্য্যের চরম পরীক্ষা। আর স্কিল ছাড়া টেস্ট ক্রিকেটে টিকে থাকা বেজায় দুরূহ এক কাজ। সবকিছু মিলিয়ে মাঠের সেই বাইশগজের আঁকড়ে থাকাটাই তো স্বার্থকতা।

ভয়ংকর গতিশীল বোলারদের সামলে টিকে থাকাটাও তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। আর বাইশ গজ তো আর বাধ্য কোন ছাত্র নয়। সেই সাথে বাতাসের তারতম্য। এত এত প্রতিকূলতা পেরিয়ে দিনশেষে নিজের উইকেটটা অক্ষত রাখাই তো মুখ্য। সেই কাজটি দারুণভাবে করেছেন ইতিহাসের সব কিংবদন্তি ব্যাটাররা। প্রায় একশ টেস্ট খেলা ব্যাটারদের সংখ্যাও নেহাৎ কম নয়। একশ টেস্ট ম্যাচ খেলার পর সর্বাধিক রান করা ব্যাটারদের নিয়ে হবে আজকের আলোচনা।

  • ম্যাথু হেইডেন (অস্ট্রেলিয়া)

আলোচনার শুরুতে ম্যাথু হেইডেনের নাম থাকলেও তিনি রয়েছেন তালিকার পঞ্চম স্থানে। দীর্ঘকায় এই ব্যাটার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ছিলেন বা-হাতি ওপেনার। ১০৩টি টেস্ট খেলে তিনি তুলে রেখেছিলেন তাঁর ‘ব্যাগি গ্রিন’ ক্যাপ। তবে তাঁর আগে শততম টেস্ট খেলার পর তিনি সংগ্রহ করেছিলেন ৮৫০৮ রান। ব্যাটিং গড় ছিলো ৫১.৮৭। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে নিঃসন্দেহে সেরা ব্যাটারদের একজন তিনি।

  • রাহুল দ্রাবিড় (ভারত)

ভারতের ব্যাটিং দূর্গ ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। ক্যারিয়ারের আদ্যোপান্ত তিনি ছিলেন মিডল অর্ডারের ভরসার প্রতীক। প্রতিপক্ষ বোলারদের ঘাত-প্রতিঘাত সয়ে তিনি ১০০ টেস্ট ম্যাচ খেলার পর ৫৭.৭৯ গড়ে রান করেছেন ৮৫৫৩। সেখানেই থেমে যাননি রাহুল দ্রাবিড়। তিনি আরো ৬৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন ভারতের হয়ে এরপর। তাঁর ব্যাট কখনোই থেমে থাকেনি সে সময়ে।

  • ইউনুস খান (পাকিস্তান)

ইউনুস খান, পাকিস্তানের কিংবদন্তি ব্যাটারদের মধ্যে উপরের সাঁড়িতেই থাকবেন। পাকিস্তানের হয়ে একমাত্র ব্যাটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়ে দেখেছেন ইউনুস খান। তাছাড়া একশতম টেস্ট খেলার পর রান করেছিলেন ৮৬৪০। তাঁর গড়টা ছিলো ৫৩.৩৩। এর পর আর ১৮ টেস্টেই তিনি দশ হাজার রানের কোটা ছাড়িয়ে যান।

  • কুমার সাঙ্গাকারা (শ্রীলঙ্কা)

দক্ষিণ এশিয়ার আরো একজন ব্যাটার থাকছেন আজকের এই তালিকায়। শ্রীলঙ্কার বা-হাতি উইকেটরক্ষক ব্যাটার কুমার সাঙ্গাকারা। ধৈর্য্যের সাথে অসাধরণ শৈলী মিলিয়ে দুরদান্ত এক ব্যাটার ছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা। তিনিও ১০০ এর বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন লংকানদের হয়ে। তবে ১০০ তম টেস্ট ম্যাচ খেলার পর তাঁর গড় ছিল ৫৫.৮১। আর রানের সংখ্যা ছিলো ৮৬৫১। ১৩৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ক্যারিয়ারে গুটিয়ে নেওয়ার আগেই ১২ হাজারের বেশি রান করেছিলেন সাঙ্গাকারা।

  • ব্রায়ান লারা (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের ৪০০ রান করা একমাত্র ব্যাটার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্যাটার ব্রায়ান লারা। আর তিনিই থাকছেন আজকের তালিকায় সবার উপরে, রান বিচারে। ইতিহাস বিখ্যাত এই ব্যাটার ৫২.১৪ গড়ে রান করেছেন ৮৯১৬ রান। এছাড়াও তিনিও পার করেছেন ১১ হাজার আন্তর্জাতিক টেস্ট রানের মাইলফলক। ক্যারিয়ার শেষের আগে তাঁর গড়টা ছিলো সেই ৫২ এর ঘরেই।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...