বরিশালকে হটিয়ে দুইয়ে কুমিল্লা

দিনের দুই ম্যাচেই ১২০ এর আশেপাশের টার্গেট পায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা দলগুলো। প্রথম ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটর্স ১১৯ রানের লক্ষ্য উৎরে যেতে পারেনি। তবে পেরেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

নিজের স্বরুপে যেন ফিরতে শুরু করেছে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট। দিনভর লো স্কোরিং ম্যাচই উপহার দিয়েছে টাইগারদের হোম অব ক্রিকেট। দিনের দুই ম্যাচেই ১২০ এর আশেপাশের টার্গেট পায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা দলগুলো। প্রথম ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটর্স ১১৯ রানের লক্ষ্য উৎরে যেতে পারেনি। তবে পেরেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও বাড়তি একটা সুবিধা পাওয়া যায়। প্রথম প্লে-অফের হারলেও তা দ্বিতীয় এলিমিনেটরে পুষিয়ে নেওয়া যায়। তাইতো ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের এই সময়ে দলগুলো টেবিলের শীর্ষ দুই পজিশনে থাকতে চায়। তেমনই এক লড়াইয়ে মুখোমুখি ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। লড়াইটা অবশ্য কেবলই দ্বিতীয় স্থান দখলের।

কেননা দুই দলের পয়েন্ট প্রায় এক। মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের টস ভাগ্য কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পক্ষে। টসে জিতে আগে বোলিং করবার সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ব্যাটিং ইনিংসের শুরুতেই বেশ বেগ পোহাতে দেখা যায় বরিশালের ব্যাটারদের। আর সেই অস্থিতিশীল অবস্থার ফায়দাটা তুলে নেয় কুমিল্লার বোলাররা। একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে চাপে ফেলে দেয় ফরচুন বরিশালকে।

বরিশালের কোন ব্যাটারকেই যেন বাইশ গজে থিতু হতে দিতে নারাজ কুমিল্লার বোলাররা। তবুও ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে ইনিংস মেরামতের কাজটি করতে থাকেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অবশ্য তাঁকে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি তরুণ মুকিদুল মুগ্ধ। তিনি অবশ্য এদিন স্টিম রোলার চালিয়েছেন গোটা বরিশালের ব্যাটিং লাইনআপে। গুনে গুনে পাঁচখানা উইকেট তিনি বাগিয়েছেন।

রিয়াদ এবং করিম জানাত বরিশালের পক্ষে রান সংগ্রহের চেষ্টা করেছেন। আর সেই চেষ্টায় বারে বারে আঘাত করেছেন মুগ্ধ। যার ফলশ্রুতিতে মাত্র ১২১ রানের টার্গেট পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। মামুলি টার্গেটে যে দারুণ আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেছে কুমিল্লা সেটাও বলার সুযোগ নেই। বরং কুমিল্লার ব্যাটারদের ভালই পরীক্ষা নিয়েছেন খালেদ, ইবাদাত, ওয়াসিমরা।

তাদের আঘাত সয়ে দলের ইনিংস বড় করবার চেষ্টা করেন ইনজুরি ফেরত লিটন দাস। তবে দলের পক্ষে কাজের কাজটি তিনি করতে পারেননি। আরও একবার বল তাঁর হাতে আঘাত করলে নিজের মনোযোগ হারিয়ে ফেলেন লিটন। ফিরে যান তিনি স্লথ গতির ৩৬ করে। তবে তাতে অবশ্য খুব বেশি বিপদে পড়তে হয়নি কুমিল্লার। কেননা শেষদিকে ঝড় তোলেন নতুন করে যুক্ত হওয়া আন্দ্রে রাসেল ও খুশদীল শাহ।

এই দুইজন ব্যাট হাতে দ্রুতই  টার্গেট পেরিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা চালান। শেষদিকে বিশাল এক ছক্কা হাকিয়ে কুমিল্লার জয় নিশ্চিত করেন রাসেল। এই জয়ে টানা অষ্টম জয় নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় পজিশনে উঠে যায় কুমিল্লা। এবারের টূর্নামেন্টে বাজে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে আরও একবার শিরোপা প্রত্যাশি হিসেবে নিজেদের দাবি ক্রমশ জোরালো করছে তিন বারের বিপিএল চ্যাম্পিয়নরা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...