ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কদিন আগে থেকেই বেশ আলোচনায় ছিলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিক। তবে বিপিএল খেলতে এসে যেন বিব্রতকর এক বিষয়ে জড়িয়ে গেলেন এ ক্রিকেটার। রহস্যজনক ভাবে এক ওভারে ৩ টা নো বল দিয়ে তিনি এখন একটা সন্দেহের আবহ তৈরি করেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় জানা গেল, শোয়েব মালিক আর এবারের বিপিএলেই খেলছেন না!
পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক বিপিএলের ঢাকা পর্বের পর ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন দুবাইয়ে। কিন্তু পরে দুবাইয়ে গিয়ে তিনি সিলেট পর্ব বাদ দিয়ে ঢাকার দ্বিতীয় পর্বে খেলার শর্ত দেন। ফরচুন বরিশালের মালিকপক্ষ তাতে রাজি হয়নি।
শোনা যাচ্ছে, নো বল ইস্যুতে এমনিতেই বিতর্কিত হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু এর মাঝে তাঁর ছুটি চাওয়াটা পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করেছে। এমতাবস্থায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে ফ্র্যাঞ্জাইজিটিও। আর সে কারণেই নাকি শোয়েব মালিককে আর খেলাতেই চায়নি দলটি।
তবে দলটির মালিকের দাবি, শোয়েব মালিক ৪ ফেব্রুয়ারি আসতে পারবে, বলে জানিয়েছিল। কিন্তু দল ২ টি ম্যাচ এর মধ্যে হেরে বসে আছে। তাহলে সিলেটে তিনটি ম্যাচ না খেললে হবে কি করে? ঢাকায় শুধু দু’টি ম্যাচের জন্য তাকে প্রয়োজন হবে না।
বিপিএলের সাথে আইএলটি টোয়েন্টি লিগের সূচি সাংঘর্ষিক হওয়ায় এবার সিংহভাগ বিদেশি ক্রিকেটারকেই পুরো মৌসুমে পাচ্ছে না ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। আর তাই বিদেশি ক্রিকেটারের কোটা পূরণেও বিপাকে পড়ছে দলগুলো।
এ দিকে গুঞ্জন উঠেছে, শোয়েব মালিকের বিপক্ষে ফিক্সিংয়ের সন্দেহেই মূলত তাঁকে আর দলে চায়নি ফরচুন বরিশাল। যদিও দল থেকে এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। সব মিলিয়ে নেতিবাচক সংবাদের শিরোনামেই পরিণত হয়েছেন শোয়েব মালিক।
তবে ফিক্সিং নিয়ে ছড়িয়ে পড়া এ গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুলেছেন মালিকও। এ নিয়ে তিনি একটি টুইটও করেছেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, এটা ভিত্তিহীন গুজব। এবং তা আমি প্রত্যাখান করছি। যে কোনো তথ্য বিশ্বাস করার আগে এবং সেটি ছড়িয়ে দেওয়ার আগে প্রত্যেকের উচিত তা যাচাই-বাছাই করা। না হলে যে কারোর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হতে পারে। মানুষের মনে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি করতে পারে। সম্প্রতি যেসব গুজব ছড়ানো হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতেই আমি এখন নিজের অবস্থা ব্যক্ত করলাম।’