ফাইনালে দেশ্যমের সাত পরিবর্তনের ব্যাখ্যা

কিন্তু অতিরিক্ত সময়েরও যোগ করা সময়ে কুন্দেকে তুলে নিয়ে অ্যাক্সেল দিসাসিকে সপ্তম পরিবর্তন হিসেবে মাঠে নামান কোচ দেশ্যম। এই সাত পরিবর্তন নিয়ে কৌতুহল জন্ম নেয় সমর্থকদের মনে।

টানা দ্বিতীয় শিরোপা জেতার সুযোগ ছিল ফ্রান্সের সামনে। কিন্তু টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে রানার আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে দিদিয়ের দেশ্যম শিষ্যদের। ফাইনালে ৩৬ মিনিটেই ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ফ্রান্স। এরপরই বিশ্বকাপে দারুণ ফর্মে থাকা অলিভার জিরুড আর ওসমান ডেম্বেলেকে তুলে মার্কাস থুরাম আর কোলো মুয়ানিকে নামান কোচ দেশ্যম। এরপর একে একে আরও পাঁচটি পরিবর্তন আনেন দেশ্যম।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে তাই এক ম্যাচে ৭ পরিবর্তনের অন্যন্য নজিরও গড়েন ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জয়ী এই অধিনায়ক। ফিফার নতুন নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৫ জন খেলোয়াড় পরিবর্তন করতে পারবেন কোচরা। খেলা যদি অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় তখন আরও একটি অতিরিক্ত পরিবর্তন করার সুযোগ পাবেন তাঁরা।

কিন্তু অতিরিক্ত সময়েরও যোগ করা সময়ে কুন্দেকে তুলে নিয়ে অ্যাক্সেল দিসাসিকে সপ্তম পরিবর্তন হিসেবে মাঠে নামান কোচ দেশ্যম। এই সাত পরিবর্তন নিয়ে কৌতুহল জন্ম নেয় সমর্থকদের মনে।

অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো খেলায় সর্বোচ্চ ছয়টি পরিবর্তন করানোর সুযোগ থাকলেও এই ছয় পরিবর্তনের আওতার বাইরে থাকে ‘কনকাশন সাবস্টিটিউশন’। মাথায় আঘাত প্রাপ্ত খেলোয়াড় বা এই সংক্রান্ত ঝুঁকি থাকা খেলোয়াড় দের জন্য প্রযোজ্য হয় এই কনকাশন সাব।

খেলার ৯৬ তম মিনিটে আদ্রিয়ান রাবিয়োট এর পরিবর্তে ইউসুফ ফোফানাকে নামান দেশম। এই পরিবর্তন করা হয়েছে কনকাশন সাবস্টিটিউশনের নিয়মের অধীনে। যার ফলে ম্যাচের মোট পরিবর্তনের আওতার বাইরে থাকে এটি।

কনকাশন পরিবর্তনের নিয়মটি আন্তর্জাতিক ফুটবলে এবারই চালু করেছে ফিফা। যদিও এই নিয়মটি ২০২১ ক্লাব বিশ্বকাপে ব্যবহার করা হয়েছে। ২০২১ সালের ৮ জানুয়ারি বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই ‘কনকাশন প্রটোকল’ এর অনুমোদন দেয়। যার ফলে মাথায় আঘাত পাওয়া বা এই সংক্রান্ত ঝুঁকিতে থাকা খেলোয়াড়দের বদলির জন্য আলাদা নিয়ম করে ফিফা। কাতারে অনুষ্ঠিত ক্লাব বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত এই নিয়মের প্রয়োগ করেছিল ফিফা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...