দ্য ‘শশাঙ্ক’ রিডেম্পশন

তরুণ শশাঙ্ক সিংকে দলে নিতে চেয়েছিল পাঞ্জাব কিংস, কিন্তু ভুল বোঝাবুঝির ফলে বুড়িয়ে যাওয়া আরেক শশাঙ্ক সিং চলে আসে তাঁদের দলে। সেটা নিয়ে খানিকটা ক্ষোভ হয়তো ছিল ম্যানেজম্যান্টের, কিন্তু শশাঙ্ক জানতেন তিনি কি করতে পারেন। তাই তো সুযোগ পেয়ে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন, অবিশ্বাস্য এক জয় উপহার দিয়েছেন দলকে। এই তারকা দেখিয়ে দিয়েছেন ভুল করেই একটা রত্ন পেয়ে গিয়েছে পাঞ্জাব।

গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে মাত্র ২৯ বলে ৬১ রান করেছেন তিনি। আহমেদাবাদে ব্যাট হাতে রীতিমতো তান্ডব চালিয়েছিলেন; একাই দলকে টেনে নিয়ে গিয়েছেন জয়ের বন্দরে। এছাড়া ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে বাইশ গজে আসা আশুতোষ শর্মার কথা আলাদা করে বলতে হয়। ১৭ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে সহনায়কের ভূমিকায় আবির্ভূত হয়েছিলেন তিনি।

এদিন অবশ্য শিখর ধাওয়ান ভাল করতে পারেননি। তবে আরেক ওপেনার জনি বেয়ারস্টো আর তিন নম্বরে নামা প্রভুসিমরান উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের ৩৫ রানের জুটি ভেঙে যেতেই ব্যাটিং ধ্বস নেমে আসে। একে একে ফিরে যান স্যাম ক্যারান, সিকান্দার রাজা – ফলে ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে যায় প্রীতি জিনতার বাহিনী।

তবে বাকিদের ব্যর্থতার মাঝেও অবিচল ছিলেন শশাঙ্ক। তাঁর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে অসম্ভব এক সমীকরণ মেলানোর স্বপ্ন দেখতে শুরু করে ভক্ত-সমর্থকেরা। সপ্তম উইকেট জুটিতে তাঁর সঙ্গে যোগ দেন আশুতোষ শর্মা; এই ডানহাতি ব্যাটাররাও সেসময় শুরু করেন ঝড়ো ব্যাটিং। এই দু’জনের কল্যাণেই ঘরের মাঠে গুজরাটকে পরাজয়ের লজ্জা দিতে সক্ষম হয় পাঞ্জাব।

এর আগে অবশ্য ব্যাটিংয়ে গুজরাট ভাল শুরু পেয়েছিল অধিনায়ক শুভমান গিলের হাত ধরে। ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ব্যর্থ হলেও কেন উইলিয়ামসনকে সঙ্গে নিয়ে বড় রানের ভিত গড়ে তোলেন তিনি। ২৬ রান করে উইলিয়ামসন ফিরে গেলেও থামেননি এই তারকা; তরুণ সাই সুদর্শনের সাথে পুনরায় গড়েছেন ৫৩ রানের জুটি।

শেষদিকে সুদর্শন, বিজয় শঙ্কররা আউট হলেও বিশ ওভার পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন তিনি; মাত্র ৪৮ বলে ৮৯ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস শেষে ড্রেসিংরুমে ফিরেছিলেন। এছাড়া রাহুল তেওয়াটির ব্যাট থেকে এসেছে আট বলে ২৩ রানের ক্যামিও। তাতেই ১৯৯ রানের পুঁজি পেয়েছে দলটি; যদিও জয়ের জন্য সেটা যথেষ্ট হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link