রাজকীয় বিদায় বার্তা

ওয়ার্নারের এমন রাজকীয় বিদায়ের দিনে তাঁকে অভিবাদন জানিয়েছেন ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার। মারকাটারি ব্যাটিং থেকে টেস্ট ক্রিকেটের সহজাত ব্যাটিং লালন করা ওয়ার্নারকে তিনি আলাদা করে দিয়েছেন কৃতিত্ব।

একটা রাজকীয় বিদায়। নিজ শহরের মাঠে এমন ‘বিদায়’-ই তো চেয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ দিনে অদ্ভুত এক ভালোবাসায় সিক্ত হলেন তিনি। সিডনির মাঠে সাদা রঙের বর্ণে ভাসলো ‘থ্যাংকস ডেভ’ লেখাটা। ওয়ার্নার নিজেও সেই মাঠে শেষ ইনিংসটা খেললেন। ৫৭ রানের ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের পথে রাখলেন দারুণ অবদান। এমন ‘বিদায়’কে রাজকীয় না বলে উপায় কই!

টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ওপেনার হিসেবেই বিদায় নিলেন ওয়ার্নার। অথচ একটা সময়ে টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট হিসেবেই বিবেচনা করা হতো। কিন্তু বছরের পর বছর তিনি প্রমাণ করে গিয়েছেন লাল বলের ক্রিকেটেও। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে টেস্টে ওপেনার হিসেবে তাঁর রানই এখন সর্বোচ্চ।

ওয়ার্নারের এমন রাজকীয় বিদায়ের দিনে তাঁকে অভিবাদন জানিয়েছেন ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার। মারকাটারি ব্যাটিং থেকে টেস্ট ক্রিকেটের সহজাত ব্যাটিং লালন করা ওয়ার্নারকে তিনি আলাদা করে দিয়েছেন কৃতিত্ব। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘মারমুখী টি-টোয়েন্টি ব্যাটার থেকে টেস্ট ক্রিকেটের সহজাত ব্যাটার হয়ে ওঠা। কী দারুণ অধ্যায়! সে যেভাবে খেলে গিয়েছে, তাতে টেস্ট ক্রিকেটের একটা নতুন রূপ দেখেছে বিশ্ব। দারুণ একটা ক্যারিয়ারের জন্য অভিনন্দন ডেভিড ওয়ার্নারকে। অনেক শুভকামনা ওয়ার্নার ও তাঁর পরিবারকে।’

ক্যারিয়ারে ১১২ ম্যাচে ২০৫ ইনিংসে ৪৪.৫৯ গড়ে ৮৭৮৬ রান করেছেন ওয়ার্নার। বর্ণাঢ্য এ ক্যারিয়ারে ২৬ শতক ও ৩৭টি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ইতিহাসে রানের হিসাবে পঞ্চম এ ওপেনার। আর ওপেনারদের মধ্যে আর কোনো অস্ট্রেলিয়ান টেস্টে ওয়ার্নারের মতো এত রান করতে পারেননি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...