সোনায় মোড়ানো ক্যারিয়ারের খাঁদ

একবার তো এমন হলো, ইংলিশ ফুটবলের সব পুরষ্কার নিজের করে নিলেন। যেটা একমাত্র রোনালদোর ছিল ২০০৭ মৌসুমে। ইংলিশ ফুটবলে রাজত্ব করা কেবল সময়ের ব্যাপার ছিল তার কাছে। কিন্তু তিনি তো রায়ান গিগস নন। তিনি গতি আর দ্যুতি মিলে মহাতারকা হতে চান। তিনি গেলেন রিয়াল মাদ্রিদে।

যদি আপনি জীবন আরামে কাটাতে চান তবে তাঁকে অনুসরণ করতে পারেন, যদি জীবনে ব্যর্থ অনুভব করতে চান তবে তাঁকে অনুসরণ করতে পারেন। যদি জীবনে সফল অনুভব করতে চান তবেও তিনি সেখানে যোগ্য। তিনি হলেন গ্যারেথ বেল।

সাউদাম্পটনের ইতিহাসে কোনো তরুণ এসে ৪০ ম্যাচ খেলে হাইপ পাইসে বলে মনে পড়ে না। ওয়েলসে রায়ান গিগসের চেয়ে বড় কেউ আসবে কখনো ভাবা হয়নি। তবু তিনি এসেছেন, রায়ান গিগসের দুই যুগের অধ্যবসায়কে তারকাদ্যুতি দিয়ে ছাপিয়েছেন দক্ষতায় ছাপিয়েছেন গতিতে ছাপিয়েছেন।

টটেন্যাম হটস্পার্স বোধহয় কখনো ট্রফির দিকে ওভাবে তাকায় না। আছে থাকুক, যে নেয়ার নেক, আমার কি! এই ধরণের একটা মনোভাব তাদের। মদ্রিচ থেকে ওয়েলসের গ্যারেথ বেল যেভাবে টটেন্যাম ছেড়েছে তাতে বলাই যায়, দলে আহামরি বড় তারকা রাখাটাও তাদের অভ্যাসে নেই। সেই টটেন্যাম স্বপ্ন দেখেছে বটে। ঠিক ট্রফির ধারে কাছে না ঘেষলেও নিয়মিত চ্যাম্পিয়ন্স খেলার সুযোগ পাওয়া শুরু সে সময়টায়।

প্রিমিয়ার লিগের ৯০ এর দশক থেকে চলে আসা ‘টপ ফোর’ ততদিনে ‘টপ ফাইভ’।

একবার তো এমন হলো, ইংলিশ ফুটবলের সব পুরষ্কার নিজের করে নিলেন। যেটা একমাত্র রোনালদোর ছিল ২০০৭ মৌসুমে। ইংলিশ ফুটবলে রাজত্ব করা কেবল সময়ের ব্যাপার ছিল তার কাছে। কিন্তু তিনি তো রায়ান গিগস নন। তিনি গতি আর দ্যুতি মিলে মহাতারকা হতে চান। তিনি গেলেন রিয়াল মাদ্রিদে।

এখন আসি সফল আর ব্যর্থতার হিসাব জীবনে কী বিষন্ন আনন্দ এনে দিতে পারে – সেই হিসাবে।

একটা মানুষ বিশ্বের সফলতম একটা ক্লাবের নতুন শতাব্দীর সেরা পাঁচ গোলদাতার একজন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল থেকে শুরু করে ঘরোয়া কাপ সব ফাইনালে তার গোল আছে।

তাইলে আপনার ব্যর্থতা কী? এটা ব্যর্থতা হলে সফলতা কী? ব্যর্থতা হলো অন্য কারো মতো হতে চাওয়া, অন্যের স্থলাভিষিক্ত হতে চাওয়া।

বিরাট কোহলি কখনোই টেন্ডুলকার হতে চাননি, ধোনি নন কোনো গাঙ্গুলি। দুজনই পূর্বসুরীদের ছাপিয়েছেন বটে কিন্তু সেই তুলনা অহেতুক কারণ লিগেসির মূল্য অমূল্য।

আর গ্যারেথ বেল হতে চেয়েছেন সমসাময়িক রোনালদোর চেয়ে ভালো। তাঁর সোনায় মোড়ানো ক্যারিয়ারে খাঁদ রয়ে গেছে সেখানেই। মেসি, রোনালদো, বেল, নেইমারের যুগে- মেসি, রোনালদো এই একটা জায়গাতে সবাইকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেছেন প্রতিভা বা পরিশ্রম তোমার পকেটে যাই থাকুক নিজের মতো হও।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...