আধুনিক ক্রিকেট এখন মোমেন্টাম নির্ভর। আর লাহোরে সেই মোমেন্টামটা নিজের করে নিলেন গ্লেন ফিলিপস। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের তিনিই এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় এক্স ফ্যাক্টর। একটা সময় যখন ২৫০-২৬০ রান তুলতেই হিমশিম খাচ্ছিল যে নিউজিল্যান্ড, তাঁরাই বোর্ডে জমা করল ৩৩০ রান।
সাত ওভার শেষে শাহীন শাহ আফ্রিদি দিয়েছিলেন মাত্র ৩৩ রান। সেখান থেকে তিনি শেষ করলেন ১০ ওভারে ৮৮ রান। এর অর্থ হল, শাহীনের শেষ তিন ওভার থেকে ৫৫ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড। আর এখানে সবচেয়ে আগ্রাসী যে ছিলেন ফিলিপস সেটা না বলে দিলেও চলে। শাহীনের বিপক্ষে ১৬ বল খেলে ৪৯ রান করেন ফিলিপস। পেয়ে গেছেন ওয়ানডেতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি।
গ্লেন ফিলিপসও শুরুতে আসলে ধীর স্থীরই ছিলেন। প্রথম ৫০ বলে করেন ৩৭ রান। শেষ পর্যন্ত ৭৪ বলে ১০৬ রান করেন। অর্থ হল শেষ ২৪ বলে করেন ৬৯ রান। শেষ ১৯ বলে করেন ৫৯ অবিশ্বাস্য অভাবনীয়!
ইনিংসের শুরুটা আসলে সব সময়ে দিনের সঠিক পূর্বাভাস দেয় না। তা না হলে, ৬৫ স্ট্রাইক রেটে কেন উইলিয়াসমসের করা ৫৮ রানের ইনিংসের পরও নিউজিল্যান্ডের রানের পাহাড় জমা করা সম্ভব হত না। এটা সম্ভব করার শুরুটা করে দিয়ে যান ড্যারিল মিশেল। ৮৪ বলে ৮১ রান করেন সময়ের অন্যতম সেরা এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।
ড্যারিল মিশেল হাত খোলা শুরু করার পরই ফিরে যান সাজঘরে। তাঁর গড়ে দেওয়া মঞ্চে ঝড় তোলেন ফিলিপস। শাহীনের ওপর দিয়েই সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব দেখান। ডেথ ওভারে শাহীন যে ১২ টা বল করেন তাঁতে রান আসে ৪৩। শেষ ওভারে দেন ২৫ রান।
ম্যাচটা নব্বই দশকের ম্যাড়মেড়ে ওয়ানডে হতে হতেও হয়নি গ্লেন ফিলিপসের সৌজন্যে। এমনকি মিশেল আউট হওয়ার পর ২৮০ পর্যন্ত গেলেই সন্তুষ্ট থাকার কথা সফরকারীদের। সেখান থেকে আরও ৫০ টা রান বেশি করেছে নিউজিল্যান্ড!