পাকিস্তান দলে ফিটনেস টেস্টের সংস্কৃতি বন্ধ করেছিলেন বাবর!

এবার কোনো ভিত্তিহীন অভিযোগ নয়, বাবর আজমের উপর যৌক্তিক অভিযোগেরই তীর ছুঁড়লেন সদ্য চাকরি হারানো মোহাম্মদ হাফিজ। তাঁর মতে, অধিনায়ক বাবর আজম ও ডিরেক্টর মিকি আর্থারের সময়ে ফিটনেস টেস্ট সংস্কৃতিই বিলুপ্তির পথে ছিল। 

পাকিস্তান ক্রিকেটে ক্রিকেটারদের মধ্যে কাদা ছোঁড়াছুড়ি নতুন কোনো ইস্যু নয়। বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়েই সমালোচনায় মুখর ছিলেন সাবেক ক্রিকেটাররা। কখনও তির্যক মন্তব্য করতেও পিছপা হননি তাঁরা।

তবে এবার কোনো ভিত্তিহীন অভিযোগ নয়, বাবর আজমের উপর যৌক্তিক অভিযোগেরই তীর ছুঁড়লেন সদ্য চাকরি হারানো মোহাম্মদ হাফিজ। তাঁর মতে, অধিনায়ক বাবর আজম ও ডিরেক্টর মিকি আর্থারের সময়ে ফিটনেস টেস্ট সংস্কৃতিই বিলুপ্তির পথে ছিল।

পাকিস্তানের হয়ে দুটি সিরিজে প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মোহাম্মদ হাফিজ। আর সেই সময়কালে তাঁর চোখে ধরা পড়েছে ফিটনেস নিয়ে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের এই অনাগ্রহের কারণ। সাধারণত, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রিকেটারদের বিপ টেস্ট, ইয়ো ইয়ো টেস্টের মত ফিটনেস টেস্টের উপর দিয়ে যেতে হয়।

কিন্তু, পাকিস্তান ক্রিকেটাররা নাকি কোনো রকম ফিটনেস টেস্ট ছাড়াই দলে খেলে যাচ্ছেন! সম্প্রতি দ্য প্যাভিলিয়ন শো-তে এসে এমনই  বিস্ফোরক তথ্যই দিয়েছেন মোহাম্মদ হাফিজ।

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলাম, তখন খেলোয়াড়দের ফিটনেসের যত্ন নিতে বলেছিলাম। সে সময় আমি ট্রেইনারকে খেলোয়াড়দের ফিটনেস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি আমাকে এমন কিছু বলেন, যাতে আমি তাজ্জব বনে গিয়েছিলাম। ছয় মাস আগে নাকি তাঁকে অধিনায়ক ও ডিরেক্টর বলেছিলেন খেলোয়াড়দের ফিটনেস পরীক্ষা বন্ধ করতে। বাবর আর মিকি আর্থাররা সুপারিশ করেছিলেন, খেলোয়াড়রা যেভাবে চান, সেভাবে খেলতে দিতে।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও কঠিন অভিযোগ করেন। বললেন, ‘৬ মাস আগে আমরা ফিটনেস টেস্টের ট্রায়াল নিয়েছিলাম। আমরা যখন খেলোয়াড়দের চর্বির মাত্রা পরীক্ষা করি, তখন দেখা যায়, তাদের সবার ত্বকের ভাঁজ বেশি ছিল। এমনকি অনেকেই ছিল যারা, ২ কিলো মিটার রানিং ট্রায়াল সম্পূর্ণ করতে পারেনি। একটা জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ফিটনেসের অবস্থা যদি এমন হয়, তাহলে কী করে উন্নতি হবে?’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...