নড়বড়ে ওপেনিং জুটি – শেষ কবে পাওয়ার প্লেতে উইকেট হারায়নি সেটা বাংলাদেশ ভুলেই গিয়েছে। অথচ ভারতের সাথে দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র, দুই ওপেনার লিটন দাস আর তানজিদ হাসান তামিম দলকে এনে দিলেন উড়ন্ত সূচনা। সেই সাথে গড়লেন বিশ্বকাপ ইতিহাসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড।
এই দুই ব্যাটারের তান্ডবে যখন দিশেহারা ভারত, তখন আরেক দুঃসংবাদ ভেসে আসলো। ম্যাচের মাঝপথেই ইনজুরিতে পড়েছেন দলটির অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। ইনজুরি এতটাই গুরুতর মনে হয়েছে যে শুধু ম্যাচ নয়, পুরো টু্র্নামেন্ট থেকেই ছিটকে যেতে পারেন তিনি।
আপাতত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে, এরপর হাসাপাতালে নেয়া হবে স্ক্যানিং করানোর হচ্ছে। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসলেই পুরোপুরি জানা যাবে চোটের অবস্থা। তবে এটা প্রায় নিশ্চিত, এই ম্যাচে হয়তো নামতে পারবেন না এই ডানহাতি।
বাংলাদেশের ইনিংসের নবম ওভারের কথা, বোলিংয়ে তখন পান্ডিয়া। তাঁর তৃতীয় বল সোজা ব্যাটে খেললেন লিটন, আর বল ছুটলো একেবারে বোলিং প্রান্ত দিয়েই। নিচু হয়ে পা দিয়ে সেটা থামাতে গেলেন এই ভারতীয়, তাতেই বাঁধলো বিপত্তি। বাম পায়ের গোড়ালি মুচকে যায় তাঁর।
শুরুতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আবার বোলিং শুরু করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। উঠে দাঁড়িয়েছেন ঠিকই তবে বোলিং করার জন্য নয়, মাঠ থেকে বের হওয়ার জন্য। বাধ্য হয়ে ওভারের বাকি তিন বল বিরাট কোহলিকে দিয়ে করাতে হয়েছিল।
ভারতের একাদশে হার্দিক পান্ডিয়ার গুরুত্ব বর্ণনাতীত। দলের তৃতীয় পেসার তিনি, আচমকা বাউন্সারে উইকেট তুলতে দারুণ পারদর্শী। আবার মাঝের ওভারগুলোতেও পার্টনারশিপ ভাঙ্গতে অধিনায়কের অস্ত্র এই ডানহাতি। কিন্তু তাঁকে ঘিরে তৈরি সব পরিকল্পনা এখন ভেস্তে গিয়েছে, দলে বাড়তি বোলার না থাকায় প্রয়োজন হলে এখন বিরাটকে ব্যবহার করতে হবে।
আবার ব্যাটিংয়েও হার্দিক পান্ডিয়ার উপস্থিতি মানে বাড়তি নির্ভরতা। পাওয়ার হিটিং কিংবা ইনিংস বড় করা দুই ক্ষেত্রেই তাঁকে ভরসা করা যায়, তবে যতদুর মনে হচ্ছে আজ সম্ভবত ব্যাটিংয়ে দেখা যাবে না তাঁকে।
আপাতত হার্দিক পান্ডিয়া দ্রুত ফিট হয়ে ওঠার দিকেই যত মনোযোগ স্বাগতিক মেডিকেল টিমের। টুর্নামেন্ট থেকে তিনি বাদ পড়লে অনেক বড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারে টিম ইন্ডিয়া; টিম কম্বিনেশনই এলোমেলো হয়ে যাবে।