আম্পায়ারিং ইস্যু, হারমানে অপেশাদারিত্ব চরমে

বেশ অপেশাদারিত্বই দেখালেন ভারত নারী দলের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কর। সিরিজ নির্ধারনী শেষ ম্যাচের ফলাফল মোটেও পছন্দ হয়নি ভারতীয় অধিনায়কের। ক্ষোভটা উগড়ে দিলেন তিনি পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে।

বেশ অপেশাদারিত্বই দেখালেন ভারত নারী দলের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কর। সিরিজ নির্ধারনী শেষ ম্যাচের ফলাফল মোটেও পছন্দ হয়নি ভারতীয় অধিনায়কের। ক্ষোভটা উগড়ে দিলেন তিনি পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে।

শুরুটা অবশ্য সেখানে নয়। হারমানপ্রীত যেন কোনভাবেই বাংলাদেশের বিপক্ষে এমন দুরবস্থা মেনে নিতে পারছেন না। অথবা গোটা ভারত দল সম্ভবত প্রত্যাশাই করেনি বাংলাদেশের বিপক্ষে এতটা খাবি খেতে হবে তাদের। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তারা।

দোর্দণ্ড প্রতাপে বিশ্ব ক্রিকেটে বিচরণ তাদের। সেই দলটাই নাকি সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। শক্তিমত্তার বিচারে বাংলাদেশ ঢের পিছিয়ে। তবে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ বরাবরই সমীহ আদায় করে থাকে। ঘটনার সূত্রপাত ভারতের ব্যাটিং ইনিংসের ৩৪ তম ওভারে। নাহিদা খাতুনের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন হারমানপ্রীত কর।

স্লিপে থাকা ফাহিমা খাতুন ক্যাচ লুফে নেওয়ার পর প্রচণ্ড আবেদনের মুখে আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত জানান। তবে সুইপ খেলতে চাওয়া হারমান সম্ভবত দাবি করছেন তার সেই বলটি পায়নি বলের ছোঁয়া। তিনি আর নিজের রাগ চেপে রাখতে পারেননি। ব্যাট দিয়ে আঘাতও করেন স্ট্যাম্পে। মূলত সেখান থেকেই মেজাজ হারাতে শুরু করেন ভারতের অধিনায়ক।

হারমানপ্রীত প্যাভিলিয়নে যাওয়ার সময় দর্শকদের উদ্দেশ্য করে ‘থাম্বসআপ’ ও দেখান বিদ্রুপের ভঙ্গিমায়। তখনও জয়ের জন্য বেশ লম্বা একটা পথ পাড়ি দিতে হতো ভারতকে। ঠিক সে কারণেই হারমানের উইকেটটি ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

শেষ অবধি জয় বঞ্চিত হয় ভারত। শেষ তিন ওভারের নাটকীয়তায়, ম্যাচ টাই হয়। আর তাতেই যেন আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন হারমান। পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে আমরা যখন বাংলাদেশে আসব তখন এই প্রস্তুতি নিয়েই আসব যে আমাদেরকে এমন আম্পায়ারিংয়ের মুখোমুখি হতে হবে।’

নেতিবাচক মন্তব্য করেই বেশ আগ্রাসী ভঙ্গিমায় তিনি মাঠ ছেড়ে যেতে উদ্ধত হন। যেহেতু সিরিজ শেষ হয়েছে সমতায়, সেহেতু দুই দলই শিরোপা নিয়ে একসাথে ছবি তোলার জন্য তৈরি হয়। সেখানেও বেশ উচ্চস্বরেই হারমানপ্রীত বললেন যে আম্পায়ারদেরও ডাকা হোক। এছাড়াও আরও বেশ কিছু বাক্য বিনিময় করেছেন ভারতের অধিনায়ক।

যাতে বেশ অপমানবোধই করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। তাই তিনি তার দল নিয়ে ট্রফির সাথে কোনরকম ফটোসেশন না করেই চলে যান ড্রেসিং রুমে। পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বলেন, ‘সেখানে এমন কিছুই ঘটেছে যে কারণে আমার মনে হয়েছে আমার দল নিয়ে সেখানে থাকা উচিত নয়।’

তবে এমন উগ্র মনোভাব ব্যক্ত করা কিংবা আগ্রসী প্রতিক্রিয়া জানানোর ঘটনা এবারই প্রথম ঘটাননি ভারতের অধিনায়ক। এর আগে এই বছরের শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এমন বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখানোর ঘটনা ঘটিয়েছেন হারমান। সেবার আউট হওয়ার ক্ষোভে, মেজাজ হারিয়ে ফেলেন হারমান। ছুঁড়ে মারেন ব্যাট।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...