ম্যাচের আগে নিজেদের এগিয়ে রেখেছিলেন আফগানিস্তানের কোচ জোনাথন ট্রট। রশিদ খানদের চলনে বলনেও ফুটে উঠেছিল আত্মবিশ্বাসের ছাপ। কিন্তু ম্যাচ শুরু হতে সব বাতাসে মিলিয়ে গিয়েছিল; পুরো পঞ্চাশ ওভার যেভাবে খেলেছে আফগানরা তাতে মনে হতে পারে নিজেদের উপরই ভরসা হারিয়ে ফেলেছে তাঁরা।
এমনকি আফগানিস্তানের ফুটবল দলের কোচ আবদুল্লাহ আল মুতাইরি নিজেরও বিশ্বাস রাখতে পারেননি গুরবাজ, জাদরানদের উপর। খেলার অর্ধেকটা শেষ হতেই আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি; বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হতেই গণমাধ্যমের সামনে অকপটে স্বীকার করেছেন আফগানিস্তানের আর সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ যখন ক্রিকেট মাঠে লড়ছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে, একই সময়ে বসুন্ধরা কিংসের কিংস এরেনায় জামাল ভূঁইয়াদের মুখোমুখি হয়েছিল আফগানিস্তান ফুটবল দল। সেই ম্যাচ শেষ হয়েছিল ০-০ স্কোরলাইনে। ততক্ষণে সুদূর লাহোরে বাংলাদেশের ব্যাটিং শেষ হয়েছিল কেবল।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের মাঝে ফুটবলের আলাপ থামিয়ে আফগানিস্তান কোচ আবদুল্লাহ আল মুতাইরি ক্রিকেট ম্যাচের খোজ খবর নিলেন খানিকটা। কেউ একজন উত্তর দিয়েছিল, ‘বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি পেয়ে গিয়েছে।’ এরপর কোচের কণ্ঠে ঝরেছে আফসোস, বলে ওঠেন, ‘আফগানদের তো তাহলে আর সুযোগই নেই! নাহ, দিনটা তাহলে খারাপই গেল!’
মুতাইরির ভবিষ্যতবাণী ভুল প্রমাণ করতে পারেনি আফগানিস্তানের ব্যাটাররা। ৩৩৫ রানের পাহাড়সম টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে তাঁরা থেমেছে ২৪৫-এ। তবে আফগানদের হতাশার আরো বাড়ানোর সুযোগ ছিল, আফগানিস্তানকে ফুটবলেও পরাজয়ের স্বাদ দিতে পারতো বাংলাদেশ।
বারবার সুযোগ সৃষ্টি করেও রাকিব হোসেন, শেখ মোরসালিনরা পাননি জালের দেখা। বিশেষ করে মোরসালিনের ৫৪ মিনিটের সেই মিস এখনো আক্ষেপ জাগায় ফুটবলপ্রেমীদের।
অথচ ম্যাচের আগে ঠিকই বড় বড় কথা বলেছিলেন আবদুল্লাহ আল মুতাইরি। ফুটবল আর ক্রিকেট দুটোতেই নাকি আফগানরা এগিয়ে এমনই বিশ্বাস ছিল তাঁর। কিন্তু সেই ধারণা এখন নিশ্চয়ই বদলাতে হবে মুতাইরিকে; না বদলানোর উপায়ও বা কই?