উত্তাপের চেয়ে সম্প্রীতি বেশি কেন?

বহুল প্রত্যাশিত ভারত পাকিস্তান ম্যাচে ছিল বৃষ্টির বাঁধা; তবে যতটুকু খেলা মাঠে গড়িয়েছে তার পুরোটাতেই ছিল আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণ। কখনো পাকিস্তানি পেসারদের দাপটে ধ্বস নেমেছে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপে; আবার কখনো ভারতীয় ব্যাটাররা শাসন করেছে প্রতিপক্ষ বোলারদের।

বহুল প্রত্যাশিত ভারত পাকিস্তান ম্যাচে ছিল বৃষ্টির বাঁধা; তবে যতটুকু খেলা মাঠে গড়িয়েছে তার পুরোটাতেই ছিল আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণ। কখনো পাকিস্তানি পেসারদের দাপটে ধ্বস নেমেছে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপে; আবার কখনো ভারতীয় ব্যাটাররা শাসন করেছে প্রতিপক্ষ বোলারদের।

কিন্তু, মাঠের খেলা যখন বন্ধ ছিল সেসময় ক্রিকেটারদের মাঝে ছিল না কোন আগ্রাসনের ছাপ। দুই দলের ক্রিকেটাররাই একে অপরের সাথে আড্ডা দিয়েছেন; হাসাহাসিও হয়েছে খানিকটা। প্রায় সবাই এমন দৃশ্যে মজা পেলেও অসন্তুষ্ট হয়েছেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান গৌতম গম্ভীর।

স্টার স্পোর্টসের একটি অনুষ্ঠানে নিজের অসন্তুষ্টির কথা প্রকাশ করেন গম্ভীর। তিনি বলেন, ‘আপনি যখন আপনার জাতীয় দলের হয়ে মাঠে খেলবেন, আপনাকে অবশ্যই বন্ধুত্বের সম্পর্ককে মাঠের বাইরে রেকে আসতে হবে। উভয় দলের খেলোয়াড়দের চোখে আগ্রাসন থাকতে হবে। ম্যাচের এই ছয় বা সাত ঘন্টার ক্রিকেটের পরে আপনি যতটা চান বন্ধুত্বপূর্ণ হতে পারেন।’

এই তারকা ব্যাটার আরো যোগ করেন যে, ‘এই সময়গুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি কেবল নিজের প্রতিনিধিত্ব করছেন না, আপনি একটি জাতির প্রতিনিধিত্ব করছেন। আজকাল প্রায় দেখা যাচ্ছে যে প্রতিদ্বন্দ্বী দলের খেলোয়াড়রা একে অপরের পিঠে থাপ্পড় দিচ্ছেন। আবার ম্যাচ চলাকালীন শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। কয়েক বছর আগে কিন্তু এসব দেখতে পাবেন না।’

ক্রিকেটকে বলা হয় ভদ্রলোকের খেলা, তাই হয়তো অন্য দলকে ভ্রাতৃত্বের চোখেই দেখেন অনেক ক্রিকেটাররা। কিন্তু গৌতম গম্ভীরের এসব একদমই পছন্দ নয়, তাঁর কাছে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই আসল। এমনকি মাঠে স্লেজিংকেও সমর্থন করেন তিনি।

২০১১ বিশ্বকাপজয়ী ব্যাটার বলেন যে, ‘আপনি স্লেজ করতে পারেন, কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ না করলেই হবে। আপনাকে সীমার মধ্যে থাকতে হবে; কারও পরিবারের সদস্যদের জড়িত করবেন না বা খুব ব্যক্তিগত হয়ে উঠবেন না। এমনিতে ব্যান্টার ঠিক আছে, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে এসব নিয়ে তোলপাড় হতো।’

আসলেই সত্য, একটা সময় শহীদ আফ্রিদিদের সঙ্গে যেভাবে গৌতম গম্ভীরদের বিবাদ হতো সেটা সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যায় না। বাবর আজম, বিরাট কোহলিরা এখন অনেক বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ। অবশ্য বিশ্বের অধিকাংশ ক্রিকেটপ্রেমী বাকবিতন্ডার চেয়ে দুই দলের সম্প্রীতিকেই বেশি উপভোগ করছে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...